চিকিৎসকদের মতে, রক্তের শর্করার মাত্রা বশে না রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। ছবি: শাটারস্টক।
করোনার চোখরাঙানি ফের বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিকদের বেলায় কোভিড-১৯-এর ছোবল অন্যদের তুলনায় বেশি মারাত্মক। তাই বাঁচার উপায় বলতে, রসনায় লাগাম রাখা, নিয়ম করে শরীরচর্চা করে রোগটাকে বশে রাখার চেষ্টা করা। না হলে হার্ট থেকে শুরু করে কিডনি, চোখ, ত্বক, শিরা-ধমনী— সব কিছুর উপরেই প্রভাব পড়বে, বাড়বে সংক্রমণের আশঙ্কাও।
চিকিৎসকদের মতে, রক্তের শর্করার মাত্রা বশে না রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে যে কোনও সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বাড়ে কোভিডের ঝুঁকিও। তাই কোভিড এড়ানোর নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি নজর দিতে হবে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার দিকেও। বর্ষশেষের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ডায়াবিটিসকে উপেক্ষা করলে কিন্তু মুশকিল!
১) রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে যে ভাবে চলছিলেন, সে ভাবেই চলুন। উৎসবের আবহে ব্যায়াম যেন বন্ধ না হয়। কারণ এতে ওজন, ডায়াবিটিস যেমন বশে থাকে, বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
২) জল বেশি খান। এমনিও তা করা দরকার। তা ছাড়া ডায়াবিটিসের কিছু ওষুধ আছে, যা খেলে জল বেশি খেতেই হয়।
ডায়াবিটিস থাকলে কলা, আনারসের মতো ফলগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
৩) ধূমপান করবেন না। ‘না’ মানে, ‘না’। কারণ করোনাভাইরাস যে রিসেপ্টার দিয়ে শরীরে ঢোকে, ধূমপান করলে ওই রিসেপ্টার বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে। পাশাপাশি ডায়াবিটিসের মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধূমপান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে।
৪) ডায়াবিটিস কোনও কারণে বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ় বাড়াতে হবে। তার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া বুঝে করুন। ভাত-রুটি কম খেয়ে সবুজ শাকসব্জি খাওয়া বাড়ান। করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে বেশি করে ফল খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা! ডায়াবিটিস থাকলে কলা, আনারসের মতো ফলগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
৫) মানসিক চাপ নেবেন না। যদিও কর্মব্যস্ত জীবনে চাপ থাকবে না, এমনটা সম্ভব হয় না। তবু চেষ্টা করুন কাজের মধ্যে মানসিক শান্তির উপায়গুলি খুঁজে বের করার। মানসিক চাপ নিলে লাভ তো হবেই না, বরং এতে ডায়াবিটিস যেমন বেড়ে যেতে পারে, কমতে পারে সবারই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কাজেই বিপদ দ্বিগুণ।·