Eye Care Tips

গরমে চোখের সংক্রমণ থেকে সাবধান! কনজাংটিভাইটিসের ঝুঁকি এড়াতে ৫ নিয়ম মানতেই হবে

কনজাংটিভাইটিসের ভয়ে বাড়িতে বসে থাকা যায় না। কাজের প্রয়োজনে, পড়াশোনার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরোতেই হয়। ভিড় মেট্রো, বাস, ট্রামেও উঠতে হয়। বাজারেও যেতে হয়। তাই কিছু সাবধানতা মেনে চলা একান্তই জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ১৬:১৯
Share:

ভিড়ের মাঝে থেকেও কনজাংটিভাইটিসের ঝুঁকি কমাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।

ভ্যাপসা গরমে প্রায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তার উপর গরমের সময় চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেড়ে যায়। জটিল রোগ না হলেও এই সময় অন্য ঋতুর তুলনায় কনজাংটিভাইটিস একটু বেশিই দেখা যায়। চোখের সাদা অংশ ও পাতার ভেতরের অংশে হয়ে থাকে কনজাংটিভাইটিস। এর মূল কারণ ভাইরাসের আক্রমণ। তবে ব্যাক্টেরিয়া, অ্যালার্জি থেকেও হতে পারে এই সমস্যা।

Advertisement

এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ও সুস্থ, দুই ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সতর্কতা প্রয়োজন। সুস্থ মানুষকে নজর রাখতে হবে, যাতে এই অসুখে আক্রান্ত না হন, আর আক্রান্তকে আরোগ্য লাভের পাশাপাশি তাঁর থেকে এই অসুখ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে দিকেও নজর দিতে হবে। কনজাংটিভাইটিসের ভয়ে বাড়িতে বসে থাকা যায় না। কাজের প্রয়োজনে, পড়াশোনার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরোতেই হয়। ভিড় মেট্রো, বাস, ট্রামেও উঠতে হয়। বাজারেও যেতে হয়। তাই কিছু সাবধানতা মেনে চলা ভীষণ জরুরি।

লক্ষণ:

Advertisement

১. চোখ লাল হয়ে যায়।

২. চোখের রক্তনালিগুলি অনেক সময় ফুলে যায়।

৩. ঘুম থেকে ওঠার পর চোখে আঠালো ভাব।

৪. সব সময় চোখের ভিতর কিছু একটা পড়েছে, এমন অনুভূতি।

৫. চোখ চুলকায় এবং জ্বালা করে।

৬. আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি হয়, সব কিছু ঘোলা দেখতে লাগে।

ভিড়ের মাঝে থেকেও কনজাংটিভাইটিস কী ভাবে প্রতিরোধ করবেন?

১) বারংবার হাত ধোয়া: কোভিডের সময় আমাদের এই অভ্যাস হয়েছিল। বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস কিন্তু আবার শুরু করতে হবে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এর থেকে ভাল উপায় আর নেই। ব্যাগে আবার স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে।

২) রোগীর থ‌েকে দূরত্ব: বাড়িতে কারও কনজাংটিভাইটিস হলে কিংবা বাসে, ট্রামে কোনও রোগীর সম্মুখীন হলে চেষ্টা করুন তাঁর থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার। রোগীর চোখের দিকে তাকালেই আপনার এই রোগ হবে, এমনটা নয়। তবে রোগী চোখে হাত দিয়ে কোনও জায়গা স্পর্শ করলে, ওই জায়গা যদি অজান্তে আপনিও ধরে ফেলেন এবং চোখে হাত দিয়ে ফেলেন, তা হলে আপনার এই রোগ হতেই পারে। রাস্তায় বেরিয়ে ঘন ঘন চোখে হাত দেবেন না।

৩) নিজের জিনিস ভাগ করবেন না: তোয়ালে, বালিশের কভার, রুমালের মতো জিনিসগুলি বাড়িতে কারও সঙ্গে ভাগ করবেন না। এমনকি, মেকআপের জিনিসও কোনও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভাগ করবেন না, অন্যেরটাও ব্যবহার করবেন না।

৪) চোখে চশমা: বাইরে বেরোলেই চোখে চশমা পরুন। পাওয়ার না থাকলেও এই সময়ে চোখের সুরক্ষার জন্য একটি পাওয়ার ছাড়া চশমা কিনে ফেলতে পারেন। এতে সাজেও বদল আসবে আর চোখও সুরক্ষিত থাকবে। ভুল করেও চোখে হাত যাবে না। সাঁতার কাটার সময়েও চোখে চমশা পরুন।

৫) চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: আক্রান্ত হলে বাজারচলতি যে কোনও ড্রপ ব্যবহার করবেন না, এতে কর্নিয়ার ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়ম মেনে ড্রপ দিলে দিন পাঁচ-সাতেই সুস্থ হওয়া যায়। চোখে কালো চশমা পরে থাকলে বাইরের আলো ও জীবাণু দুই-ই আটকাবে। বার বার চোখে হাত দেওয়ার প্রবণতাও কমবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement