ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা কেন স্বাভাবিক নয়? ছবি: শাটারস্টক।
স্তন ক্যানসার ছাড়াও মহিলাদের মধ্যে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে ক্রমশ। ডিম্বাশয়ে ক্যানসার যতটা জটিল রোগ, ঠিক ততটাই ভয়াবহ এর চুপিসারে ছড়িয়ে পড়া। অধিকাংশ মহিলাই যে লক্ষণগুলি সাধারণ পেটের সমস্যা বা হজমের গন্ডগোল ভেবে গুরুত্ব দিতে চান না, তাতেই কিন্তু লুকিয়ে থাকতে পারে বিপদের আশঙ্কা। ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। চিকিৎসকদের মতে, ঋতুবন্ধের পর ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়ে। তাই সে ক্ষেত্রে ৫০-এর পর মহিলাদের আরও বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সতর্ক হোন এর লক্ষণগুলি সম্পর্কে।
পেটে ব্যথা: ঋতুস্রাবের সময়ে তলপেটে, কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি এই ব্যথা থেকে যায় বা বার বার ব্যথা হতে থাকে তা ডিম্বাশয়ে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
বার বার প্রস্রাবের বেগ: পেলভিস বা শ্রোণি অঞ্চলে ব্যথা, জল খুব বেশি না খেয়েও ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার প্রবণতাও ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
খুব বেশি খেতে না পারা: যদি দেখেন অল্প খেলেই পেট ভরে যাচ্ছে বা বেশি খেতে পারছেন না, এবং এই অবস্থা যদি তিন-চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পেটের নানা সমস্যা কিংবা অবসাদের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে ডিম্বাশয়ে ক্যানসারের ঝুঁকিও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
শারীরিক দুর্বলতা: অল্প কাজ করেই হাঁপিয়ে যাওয়া, সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগা, মাথা ঘোরা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েও দুর্বলতা কাটতে না চাওয়া— এগুলি কিন্তু ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে তা এড়িয়ে না যাওয়াই ভাল।
গ্যাসের সমস্যা: কিছু খেলেই কি গ্যাস হয়ে যায়? তলপেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেটে অস্বস্তির মতো সমস্যা প্রায়ই হয় অনেকের। গ্যাসের সমস্যা ভেবে অনেকেই এই উপসর্গগুলি এড়িয়ে চলেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এগুলি ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।