সকালে কোন পানীয়ে চুমুক দিলে দূরে থাকবে রোগবালাই, শরীর থাকবে তরতাজা? ছবি: ফ্রিপিক।
শীত আসেনি। তবে সকাল-রাতে হিমেল পরশ টের পাওয়া যাচ্ছে এখনই। দুপুরে রোদ চড়লে বেশ গরম। আবার ভোরের দিকে শীত ভাব। দিন-রাতের তাপমাত্রার তারতম্যে ঘরে ঘরেই এখন জ্বর, সর্দি-কাশি।
এমন মরসুমে সকালে উঠে চুমুক দিতে পারেন ৫ উষ্ণ পানীয়ে। এগুলি ঝক্কি ছাড়াই বানানো যাবে। এতে শরীর যেমন গরম হবে, তেমনই ঠেকানো যাবে ছোটখাটো রোগ বা সংক্রমণ। গলা ব্যথা হোক বা খুকখুকে কাশি, কয়েক চুমুকেই মিলবে আরাম।
আদা-লেবুর ‘চা’
আদা শরীর গরম করতে সাহায্য করে। এতে থাকে প্রদাহনাশক উপাদান। পাতিলেবুতে থাকে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ভিটামনটি। ফলে আদা এবং পাতিলেবুর যুগলবন্দি এমন মরসুমে হতে পারে আদর্শ। চা বললেও এতে চা পাতার ব্যবহার হয় না। ফুটন্ত জলে একটু আদা থেঁতো করে ফেলে দিতে হবে। আদার নির্যাস জলে মিশে গেলে, ছেঁকে নিয়ে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে চা।
দুধ-হলুদ
ঈষদুষ্ণ দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চল বহু দিনের। মা-ঠাকুরমারা বলেন ঘরোয়া টোটকায় ব্যথা-বেদনা কমে, চাঙ্গা হয় শরীর। তার কারণও আছে। হলুদে থাকে কারকিউমিন। এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন, খনিজে ভরপুর দুধ সুষম খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়। গরম দুধে একটু হলুদ মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে পানীয়। মিষ্টি স্বাদ চাইলে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চা-চামচ মধু।
দারচিনি-মধুর জল
ওজন ঝরাতে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দারচিনি। মশলা হিসাবেই হেঁশেলে এর ব্যবহার। দারচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গা গরম রাখতেও কার্যকর। জলে দারচিনি ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। তার মধ্যে মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই পানীয়।
পুদিনা, তুলসীর জল
পুদিনা এবং তুলসীর জল চুমুক দিলেও শরীরে তরতাজা ভাব আসবে। পুদিনা হজমে সাহায্য করে। তুলসীর হরেক গুণ। সর্দি-কাশি দূর করা থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে পাতাটি। গ্যাস, অম্বলের সমস্যাতেও কাজে আসে তুলসী পাতা। জলে কয়েকটি তুলসী এবং পুদিনা পাতা ফেলে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পানীয়টি।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং মধু
হজমের সমস্যা দূর করতে, ওজন কমাতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে নিলেই যোগ হবে বাড়তি পুষ্টিগুণ। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান। মধু রোগ সংক্রমণ ঠেকাতেও সাহায্য করে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চা-চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পানীয়।