রক্তদান করার আগে কোন বিষয়গুলি ভুললে চলবে না? ছবি: সংগৃহীত।
এখনও রক্তদান নিয়ে নানা মানুষের মধ্যে নানা সংশয়। রক্ত দেওয়ার আগে বহু মানুষ ভাবনায় পড়ে যান, আদৌ কাজটা ঠিক হচ্ছে তো? সাধারণত, একজনের দেহ থেকে এক বারে এক ইউনিট রক্ত নেওয়া হয়। এই রক্ত দাতার দেহে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় তৈরি হয়ে যায়। এর ফলে দাতার কোনও ক্ষতিও হয় না।
বিশেষ কোনও রোগের ক্ষেত্রে বা হেপাটাইটিস বি, রেবিজ টিকা নেওয়ার পর ছ’মাস রক্তদান করা উচিত নয়। রক্তদান করলে আপনি যেমন এক জনের প্রাণ বাঁচাতে পারেন তেমনই রক্তদান করা আপনার শরীরের পক্ষেও দারুণ উপকারী। রক্তদানের পরে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং রক্তদান করলে বেশ কিছু লাভ হতে পারে বলে জানিয়েছে গবেষণা। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী মাঝে মাঝে রক্তদান করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে, ক্যালোরি ঝরে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমে, বয়সের ছাপ পড়ে না ত্বকে। তবে, ইচ্ছে থাকলেও যে কেউ রক্ত দিতে পারবেন, তা নয়। জেনে নিন, রক্তদান করার আগে কী কী মাথায় রাখবেন।
১) দাতার কোনও রক্ত দ্বারা বাহিত অসুখ থাকলে তিনি রক্তদান করতে পারবেন না। এ ছাড়া, এডস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, এপিলেপ্সি, কিডনির অসুখ থাকলেও রক্তদান করা যায় না।। যাঁদের অ্যানিমিয়া রয়েছে, রক্ত দেওয়ায় নিষেধ রয়েছে তাঁদেরও। আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ১২.৫-এর নীচে হয়, তা হলে রক্ত দেওয়া যাবে না। আপনার হৃদ্স্পন্দনের হার যদি ৫০-এর কম ও ১০০-এর বেশি হয়, তা হলেও রক্ত নেওয়া হয় না। হাঁপানি, টিবি বা কোনও ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও রক্ত দেওয়া যায় না।
২) ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হলে তবেই তিনি রক্ত দিতে পারবেন। কম পক্ষে ৪৫ কেজি ওজন না হলে রক্ত দেওয়া বারণ। জ্বর হলে রক্ত দেওয়া যাবে না।
৩) রক্ত দানের আগের ছ’মাসের মধ্যে যদি ট্যাটু বা পিয়ার্সিং করানো হয়, তা হলেও রক্ত দেওয়া যাবে না। রক্ত দান করার আগের ২৪ ঘণ্টায় মদ্যপান করা চলবে না। রক্তদান করার দু’ঘণ্টা আগে ধূমপনও করা চলবে না।
৪) হেপাটাইটিস বি, রেবিজ টিকা নেওয়ার পর ছ’মাস রক্তদান করা উচিত নয়। তবে কোভিডের টিকা নেওয়ার দু’ থেকে তিন সপ্তাহ পর রক্ত দান করা যেতে পারে।
৫) অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হয়েছেন এমন কোনও মহিলা রক্তদান করতে পারেন না। এ ছাড়া, গর্ভপাত হওয়ার ছ’মাসের মধ্যে রক্তদান করা যায় না।