শুকনো কাশির দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
পছন্দের গান গুনগুন করা তো দূর, শুকনো কাশির জ্বালায় কথাই বলতে পারছেন না। হাসতে গেলেও কাশতে কাশতে প্রাণবায়ু বেরিয়ে আসছে। কাশি কমানোর লজেন্স, সিরাপ থেকে তুলসীর নির্যাস— কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। গলার কাছে সারা ক্ষণ খুসখুস করেই যাচ্ছে। গরম জলের ভাপ নিয়েও বুকে জমা কফ উঠছে না। বিরামহীন এই কাশির চোটে অফিসে, বাড়িতে, বাসে, ট্রেনে সকলেই বিরক্ত হচ্ছেন। নানা রকম ওষুধের খোঁজ না করে শুকনো কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া পানীয়ের উপর কিন্তু ভরসা রাখতে পারেন।
কোন পানীয়ে কমবে শুকনো কাশি?
১) লেবু এবং পুদিনা
প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো জল নিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন কয়েক টুকরো লেবু, বেশ কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে এই পানীয়ের মধ্যে মিশিয়ে নিন মধু। সারা দিনে তিন বার খেতে পারলেই শুকনো কাশির দৌরাত্ম্য কমবে।
২) হলুদ এবং দুধ
সর্দি-কাশি নিরাময়ে, প্রদাহ নাশ করতে দুধে সামান্য গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ নতুন নয়। তবে শুকনো কাশি নিরাময়ে এই পানীয়ের সঙ্গে যদি এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন, দারুণ কাজ হবে। চাইলে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩) অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার
এক কাপ ঈষদুষ্ণ জলে ১ চা চামচ অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে নিন। শুকনো কাশি নিরাময়ে এই পানীয় দারুণ কাজ করে। রাতে শোয়ার আগে এই পানীয় খেলে কাশির জন্য ঘুমে ব্যাঘাত হবে না।
আদা দেওয়া চা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) আদা দেওয়া চা
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আদা দেওয়া চা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তবে শুকনো কাশি নিরাময়ে শুধু এই পানীয় খেলে হবে না। সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে মধু। শুকনো কাশির দাপট তো কমবেই। গলায়, শ্বাসযন্ত্রে কোনও সংক্রমণ থাকলে তা-ও নিরাময় হবে।
৫) যষ্টিমধু দেওয়া চা
খুসখুসে কাশি নিরাময়ে শিশুদের যষ্টিমধু খাওয়ানোর চল বহু পুরনো। তবে যষ্টিমধু দিয়ে তৈরি চা খেলে শুধু সর্দি-কাশি নয়, সংক্রমণজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একটি পাত্রে গরম জল এবং যষ্টিমধু ভাল করে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে তার মধ্যে মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে যষ্টিমধুর চা।
(এই প্রতিবেদন সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশে লেখা। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা কাজ করে। তবে তা সকলের জন্য় নয়। সপ্তাহ দুয়েক ধরে কাশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। )