কী ভাবে কাঠবাদাম খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
আগের রাতে কাঠবাদাম ভেজাতে ভুলে গিয়েছেন। ঘুম থেকে উঠে সে কথা মনে পড়তেই চট করে একটি পাত্রে কল থেকে জল নিয়ে একমুঠো বাদাম ভিজিয়ে দিলেন। কারণ, এই বাদাম বেশ শক্ত। শুকনো বাদাম খেতে দাঁতেরও খুব কষ্ট হয়। তা ছাড়়া পুষ্টিবিদ, স্বাস্থ্য সচেতন থেকে নেটপ্রভাবী— সকলেই তো কাঠবাদাম ভিজিয়েই খেতে বলেন। তবে কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে বাদাম শুধু ভেজালেই হবে না। সকালে ভেজানো বাদাম আধ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। কিন্তু তার পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে চাইলে আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হয় কেন?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাদামের মধ্যে যে ধরনের উৎসেচক রয়েছে সেগুলি সক্রিয় করতে ভিজিয়ে রাখা জরুরি। বাদামের খোসায় রয়েছে ফ্যাটিক অ্যাসিড, সেই অ্যাসিডকে ভাঙতে সাহায্য করে ওই উৎসেচকগুলি। আয়রন, জ়িঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজগুলি শোষণে সহায়তা করে। তা ছা়ড়া যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাদাম ভেজানোর সঠিক পদ্ধতি কী?
দোকান থেকে কিনে আনা বাদাম, প্রথমে ভাল করে জলে ধুয়ে নিতে হবে। এ বার ছোট একটি পাত্রে ফিল্টারের জল নিন। তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন বাদাম। পাত্রের মুখে ঢাকা দিতে ভুলবেন না। অনেকেই বাদামের খোসা খেতে পছন্দ করেন না। তবে ভেজানোর আগে বাদামের খোসা ছাড়ানোর প্রয়োজন নেই।
কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে চাইলে অবশ্যই তা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
কত ক্ষণ ধরে বাদাম ভিজিয়ে রাখা উচিত?
কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে চাইলে অবশ্যই তা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক সময় ধরে বাদাম ভিজিয়ে রাখলে তবেই উপকার, নচেৎ নয়! অন্তত ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখতে হবে।
কতগুলি বাদামের সঙ্গে ঠিক কতটা জল দিতে হবে?
কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে গেলে জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়, তা সকলেই জানেন। কিন্তু কাঠবাদামের পরিমাণের সঙ্গে কতটুকু জল দেওয়া প্রয়োজন তা জানেন কি? বাদামের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে বাদাম এবং জলের অনুপাত হওয়া উচিত ২:১। এক কাপ জলে যেমন তিনটি কাঠবাদাম ভেজাবেন না, তেমনই এক মুঠো কাঠবাদাম ভেজানোর জন্য এক টেবিল চামচ জল দিলেও কিন্তু চলবে না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অনুপাত সম্বন্ধে এত জ্ঞান না থাকলে শুধু খেয়াল রাখতে হবে কাঠবাদামগুলি যেন জলের মধ্যে সম্পূর্ণ ডুবে থাকে। বাদামের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ রুখতে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।