ওজন ঝরাতে হলে রাতে কী কী করা চলবে না? ছবি: শাটারস্টক।
পুজো আসতে আর দু’মাসও বাকি নেই। এর মাঝে অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে শরীরের আনাচ-কানাচে। পুজোর জন্য কেনা হালফ্যাশনের জামাগুলি আদৌ আঁটবে তো? চিন্তায় মাথায় হাত! পুজোর আগে চার-পাঁচ কেজি ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? ডায়েট থেকে শরীরচর্চা সবই শুরু করেছেন? তবে পন্থাগুলি কাজে দেবে তো?
রোজের কিছু অভ্যাস অজান্তেই আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয়। জেনে নিন রাতের কোন অভ্যাসগুলি মেদ ঝরাতে হলে এড়িয়ে চলা উচিত।
১) রাতে কোন সময়ে খাচ্ছেন, ওজন ঝরাতে হলে সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। রাতে অনেক দেরিতে খাওয়ার খেলে সবার আগে সেই অভ্যাসে বদল আনুন। চেষ্টা করুন রাতের খাওয়া ৮টার মধ্যেই সেরে ফেলার। আর তা সম্ভব না হলে খাওয়াদাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুয়েক পরে ঘুমোতে যান। মাঝে কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
২) রাতে কী খাচ্ছেন, সেটাও নজরে রাখা জরুরি। রাতে খেতে বসে জমিয়ে ভূরিভোজ করা চলবে না। রাতের খাবার যত হালকা খাবেন, ততই ভাল। খাবারের ধরন হতে হবে উল্টো পিরামিডের মতো। অর্থাৎ, প্রাতরাশ হবে ভারী, রাতের খাবার হবে হালকা।
রাতে বেশি ক্ষণ জেগে থাকলে মাঝরাতে খিদের পেটে চিপ্স, নরম পানীয়, মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ছবি: শাটারস্টক।
৩) রাতে খাওয়াদাওয়ার পর মিষ্টি খান? এই অভ্যাস বন্ধ করে ভেষজ চা খাওয়া শুরু করুন। ভেষজ চা বিপাকহার বৃদ্ধি করে, হজমেও সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে রাতে ভেষজ খাওয়া শুরু করতে পারেন।
৪) রাতে বেশি ক্ষণ জেগে থাকলে মাঝরাতে খিদের পেটে চিপ্স, নরম পানীয়, মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই অভ্যাস ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতেই পারে। তাই একান্তই যদি রাত জাগতে হয়, তা হলে মাখানা, ড্রাইফ্রুটসের উপর ভরসা রাখুন।
৫) রাতে ঘুমের অভাবে মানসিক চাপ বেড়ে যায়, সেই কারণেও ওজন বাড়ে। তাই ঘুমের সঙ্গে কোনও রকম আপস করা চলবে না। রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় বা সিনেমা দেখার অভ্যাস থাকলে সেই অভ্যাসে রাশ টানতে হবে।