জল কম খেলেই কিডনিতে পাথর জমতে পারে, সতর্ক না হলেই বিপদ। ছবি: শাটারস্টক।
দিনে আড়াই থেকে তিন লিটারের জল খান না? কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত হয় কিন্তু এই একটা ভুলেই। কিডনিতে সমস্যা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিডনি বিকল হয়ে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ে। খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ কিছু সাপ্লিমেন্ট এবং ওষুধের ব্যবহারের কারণে কিডনিতে পাথর জমে। কিডনিতে পাথর জমলে ভয়ের খুব বেশি কারণ না হলেও দ্রুত সেই পাথর শরীর থেকে বার না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। এই সমস্যা আপনার মূত্রনালির যে কোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রস্রাবের রং হলুদ থেকে লালচে হলে— তা কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। এ রকম সমস্যা হলে আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। আর কী কী লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্কতা নিতে হবে?
১) কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিকে পাঁজরের দু’পাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। ব্যথা অল্প হলেও অবহেলা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) ঘন ঘন তলপেটে ব্যথা হচ্ছে? এই সমস্যাও কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘ দিন এই ব্যথা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না।
৩) কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে তা হলে তা আরও চিন্তার। প্রস্রাবের সময়ে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৪) কিছু খেলেই বমি বমিভাব, মাথা ঘোরানো— কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যা প্রায়ই হলে সতর্ক হোন।
৫) জ্বর হলেই সাধারণ ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ভাইরাল সংক্রমণ ভেবে এড়িয়ে যাবে না। কিডনিতে পাথর জমলেও জ্বর হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে পেটে তীব্র যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।