কী ভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবেন? ছবি: শাটারস্টক।
কর্মব্যস্ত জীবনের মানসিক চাপ ও খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মের জন্য উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। কিন্তু এটি এমনই একটি সমস্যা, যা আগে থেকে আঁচ করা কঠিন। আবার অনেক সময়ে লক্ষণ থাকলেও তা বুঝে উঠতে দেরি হয়ে যায় রোগীর। এই সমস্যা ডেকে আনে হৃদ্রোগের মতো সমস্যাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলেছে। অর্থাৎ, এই রোগ নীরবে আপনার বড় ক্ষতি করে দিতে পারে। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে তিন জনের মধ্যে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগের হাত ধরে কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা ছাড়াও নানা রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। দেখে নিন, দৈনন্দিন কোন কোন অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ।
১) অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস: নুনে থাকে সোডিয়াম, যা বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। শুধু খাবারে পরিমাণ মতো নুন খাওয়াই সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। বাজারজাত নানা খাদ্যে অতিরিক্ত নুন থাকে, যা বাড়িয়ে দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাই প্যাকেটজাত ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
২) মানসিক চাপ: মানসিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ বৃদ্ধিরও সম্পর্ক রয়েছে। কোনও ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে ক্ষতি হতে পারে রক্তবাহের। পাশাপাশি, মানসিক চাপে ভোগা মানুষ অনেক সময় নেশার দিকে ঝোঁকেন। এতেও ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রের। বেড়ে যায় রক্তচাপ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলেছে। ছবি: শাটারস্টক।
৩। অনিদ্রা: যাঁরা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। পাশাপাশি, অনিদ্রা ও মানসিক চাপ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। ফলে অনিদ্রা বাড়িয়ে দিতে পারে মানসিক চাপ, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
৪) মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান করলে শরীরে ফ্যাট জমে যা রক্তবাহী শিরা ও ধমনীর দেওয়াল ছোট করে দেয়। ফলে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
৫) শরীরচর্চা না করা: শরীরচর্চা না করলেই শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে। অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। তাই কেবল সুন্দর দেখানোর জন্যই নয়, শরীর চাঙ্গা রাখতেও নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। ভারী শরীরচর্চা না করলেও কার্ডিয়ো, যোগাসনের মতো হালকা ব্যায়াম নিয়ম করে করলেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।