Glaucoma

গ্লকোমা কেড়ে নিতে পারে দৃষ্টিশক্তি! রোগের ঝুঁকি এড়াতে কারা বেশি সতর্ক থাকবেন?

ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু না করলে গ্লকোমার কারণে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই রোগ চুপিসারে হানা দেয় চোখে। তাই চিকিৎসকেরা একে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন। কারা সতর্ক থাকবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৭
Share:

গ্লকোমার ঝুঁকি কাদের বেশি? ছবি: সংগৃহীত।

যে কোনও বয়সেই মানুষের চোখে থাবা বসাতে পারে গ্লকোমা। ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু না করলে এই রোগের কারণে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই রোগ চুপিসারে হানা দেয় চোখে। তাই চিকিৎসকেরা একে ‘সাইলেন্ট থিফ’-ও বলে থাকেন।

Advertisement

গ্লকোমা ঠিক কী ও কেন হয়?

চিকিৎসকদের মতে, চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই পথ বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে অপটিক স্নায়ুর উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করে, পরবর্তী কালে যা অন্ধত্ব ডেকে আনতে পারে। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় চোখের পরিধির চারপাশ থেকে। গ্লকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি বলেন, তিনি পাশের দিকে দেখতে পারছেন না, তা হলে বুঝতে হবে, ক্ষতি অনেক দূর ছড়িয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এই রোগের ঝুঁকি কাদের বেশি?

১) ৪০ বছরের উপরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই রোগের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

২) কোনও সময়ে চোখে গুরুতর চোট-আঘাত লাগলে, পরবর্তী সময়ে সেই ক্ষতস্থান থেকেও গ্লকোমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

৩) নিজের অথবা পরিবারের কারও ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লকোমার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। ডায়াবিটিস রোগের প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই চোখের উপর পড়ে, তাই সতর্ক থাকতে হবে।

৪) যাঁদের কর্নিয়া তুলনামূলক ভাবে পাতলা, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

৫) যাঁরা নিয়মিত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নেন, তাঁদেরও গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। যাঁরা ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement