শুধু প্রেম-ভালবাসা নিবেদনের ক্ষেত্রেই নয়, শরীর সুস্থ রাখতেও বেশি করে চুমু খেতে হবে।
যৌবনে কলেজ কেটে প্রথম সিনেমা দেখতে গিয়ে ভালবাসার মানুষটার ঠোঁটে ঠোঁট মেলানোর অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। সেই প্রেম টিকুক আর না টিকুক, প্রথম চুম্বনের স্বাদ কিন্তু কখনও ভোলার নয়। তবে শুধু প্রেম-ভালবাসা নিবেদনের ক্ষেত্রেই নয়, শরীর সুস্থ রাখতেও বেশি করে চুমু খেতে হবে— সেটা জানা আছে কি?
জেনে নিন চুম্বন শরীরের পক্ষে কেন এতটা স্বাস্থ্যকর।
রক্তচাপ কমায়
চুম্বনের সময় হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায়। শিরা, ধমনীগুলি প্রসারিত হয়ে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হারও বেড়ে যায়। তাই স্বাভাবিক কারণেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মানসিক উদ্বেগ
চুম্বনের সময় মস্তিষ্কের কর্টিসলের মাত্রা কমে যায়। যা ‘স্ট্রেস হরমোন’ নামে পরিচিত। এর পরিবর্তে অক্সিটোসিন,সেরাটোনিন, ডোপামিন নামক হরমোন বেশি মাত্রায় ক্ষরিত হয়। এই হরমোনগুলি মন, শরীর এবং মস্তিষ্ক ভাল রাখতে সাহায্য করে।
প্রতীকী ছবি
মুখের বাড়তি মেদ ঝরাতে
মুখে মেদ জমলে দেখতে মোটেও ভাল লাগে না! সেই মেদ ঝরাতে নানা কসরত করতে হয়। চুম্বনেই হতে পারে মুশকিল আসান। চুমু খাওয়ার সময়ে মুখের পেশিগুলি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। চুমু খেলে প্রতি মিনিটে প্রায় ৮-১৬ ক্যালোরি খরচ হয়। তাই মুখের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ত্বক টানটান রাখতে চুম্বনে ভরসা রাখতেই পারেন।
দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায়
চুমু খেলে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। চুমু খাওয়ার সময়ে লালারসের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় এবং তাতেই দাঁত, মাড়ি ও মুখের স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি ঘটে।
ত্বকে বয়সের ছাপ কমায়
চুমু খেলে মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়। কাজেই মুখের ত্বক টানটান থাকে। বলিরেখা ঠেকিয়ে রাখা যায়