জিরের হরেক গুণ। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক দিন ধরেই গ্যাস, অম্বলের সমস্যা রয়েছে, তাই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে লেবুর রস এবং মধুর বদলে এক-আধ দিন জিরে ভেজানো জল খান। গ্যাস বা হজমের ওষুধের বদলে ঘরোয়া এই টোটকা দারুণ কাজ করে। আবার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে চান যাঁরা, তাঁদের জন্যও এই মশলা বেশ উপকারী। বিভিন্ন গবেষণায় তার প্রমাণ মিলেছে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর জিরে শুধু জলে ভিজিয়ে খেলেই হবে না। রোজের সাধারণ রান্নাতে ফোড়ন হিসাবে দিতে হবে জিরে। তাতে স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুই-ই ভাল থাকবে।
জিরে ঠিক কী কী কারণে উপকারী?
১) পুষ্টিগুণে ভরপুর:
আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ় এবং ক্যালশিয়ামের খনিজ রয়েছে জিরেতে। রোজের রান্নায় নিয়মিত জিরে দিলে শরীরে এই সব উপাদানের ঘাটতি হয় না।
২) হজমে সহায়ক:
গ্যাস, পেটফাঁপা, হজমের সমস্যা নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে জিরে দারুণ কাজ করে। এই মশলার মধ্যে এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিপাকহার উন্নত করতে জিরের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৪) প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে:
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে ভরপুর জিরে শরীরে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। যার ফলে জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
জিরে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৫) শর্করা বাড়তে দেয় না:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জিরে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যার প্রভাবে শর্করাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।