অত্যধিক মাত্রায় মদ্যপান করলে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়। ছবি: শাটারস্টক
কর্মক্ষমতা বজায় রাখতেই হোক কিংবা শরীরের স্ফূর্তি জোগাতে, যৌনজীবন সুস্থ রাখতেই হোক বা বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে— পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের যথাযথ ক্ষরণ হওয়া ভীষণ জরুরি। পেশির সুগঠনের জন্যও এই হরমোন গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযাত্রায় নানা ভুলত্রুটি কিংবা শারীরিক কোনও সমস্যার কারণে অনেক পুরুষেরই টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই হরমোন ইনজেকশন বা ওষুধের সাহায্য নেন। কিছু স্বাভাবিক উপায় মেনে চললেও এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানো যায়। জেনে নিন কোন উপায়ে শরীরে এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়ানো যায়।
১) ওজন বাগে আনা: ওজন বাড়লে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। শরীরে মেদ জমলে পুরুষের টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বিপুল ভাবে কমে যায়। ফলে যৌবন ধরে রাখতে চাইলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট শুরু করুন, শরীরচর্চা করুন। শরীর চাঙ্গা থাকলে এই হরমোনের ক্ষরণও বাড়বে।
২) রোদে থাকুন: ভিটামিন ডি-র অভাবে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়। যে সব মাছে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে আছে, যেমন স্যামন, টুনা রোজের ডায়েটে বেশি করে রাখুন। পাশাপাশি রোদে সময় কাটালে শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব পূরণ হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট নিন।
৩) ধূমপান এবং মদ্যপানে লাগাম: অত্যধিক মাত্রায় মদ্যপান করলে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমে যায়। ধূমপানের ফলে ক্ষতি হয় আরও বেশি। তাই শরীর চাঙ্গা রাখতে হলে এই দুই অভ্যাস ছাড়তে হবে।
শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলেও এই হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। ছবি: শাটারস্টক
৪) মানসিক চাপ কমান: কখনও অফিসের চাপ, কখনও আবার সাংসারিক টানাপড়েনের কারণে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। মনের উপর চাপ বাড়লে, বা শান্তি কমে গেলে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ অনেক কমে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হতে পারে। একটানা একই কাজ করতে করতেও ক্লান্তি আসে, তাই কাজের মাঝে বিরতি নিন। জীবনে একঘেয়েমি কাটাতে ঘুরতে যাওয়ারও প্রয়োজন আছে।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা: শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলেও এই হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তাই রোজ টানা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার ঘুম ভীষণ প্রয়োজন। ভারী শরীরচর্চা বা ওয়েট ট্রেনিংও এই হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।