স্যালাড বানানোর সঠিক কায়দা জেনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন ঝরাতে ডায়েট শুরু করেছেন রিয়া। মাসখানেক হল চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন, বাইরের ভাজাভুজিও একেবারে বন্ধ। তবুও ওজন কিছুতেই কমছে না। ডায়েটের খাবারের সঙ্গে মাঝে মধ্যে হরেক রকম স্যালাড বানিয়ে খান। তাহলে কি স্যালাডের কারণেই ওজন বাড়ছে রিয়ার?
স্যালাড বানানোর সঠিক কায়দা না জানলে স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে! অনেকেই এক বাটি স্যালাড খেয়ে ফেলে ভাবেন, স্বাস্থ্যের উপকার হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে যেন পুষ্টির অভাব না হয়, সেদিকটিও মাথায় রাখতে হবে। স্যালাড খেতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে চললে তবেই উপকার পাবেন আপনি।
স্যালাডে দই বা ‘গ্রিক ইয়োগার্ট’ ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যকর স্যালাড বানাতে হলে কোন ৫ টোটকা মাথায় রাখবেন?
১) স্বাদ বৃদ্ধি করতে স্যালাডে মেয়োনিজ ও চিজ ব্যবহার না করাই ভাল। এই দুই উপাদান খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। ফল, সব্জি কিংবা মাছ, মাংস, ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার স্যালাড আর স্বাস্থ্যকর থাকছে না। সে ক্ষেত্রে স্বাদের জন্য টক দই বা ‘গ্রিক ইয়োগার্ট’ ব্যবহার করতে পারেন।
২) এ ছাড়া স্যালাডে নুন, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে, তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। সাদা নুনের পরিবর্তে বিটনুন ব্যবহার করলে বেশি ভাল হয়। স্যালাডের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বিভিন্ন রকম ড্রেসিং, সস্ ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত নুন, চিনি যুক্ত সেই সব ড্রেসিং ও সস্ ব্যবহার করলেই স্যালাডের পুষ্টিগুণ আগের মতো থাকে না।
৩) স্যালাডের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট খান। স্যালাডের সঙ্গে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যোগ না করাই ভাল। স্বাদ বাড়াতে স্যালাডে ভাজা তিল কিংবা কুমড়োর বীজ দিতে পারেন।
৪) সব্জির স্যালাড বানানোর সময় সেদ্ধ করে নেন অনেকেই। কেউ আবার তেলে হালকা ভেজে নেন। এতে স্যালাডের স্বাদ বাড়লেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।
৫) স্যালাডের ড্রেসিং-এ অলিভ অয়েল অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করবেন না। স্যালাড সুস্বাদু না হলে অনেকেই খেতে চান না। তাই স্বাদ বাড়াতে বিভিন্ন রকম হার্বস দিতে পারেন।