কেন সব সময় মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে? ছবি: শাটারস্টক।
অনেকেই আছেন যাঁরা খিদে না পেলেও সারা ক্ষণ খাই খাই করেন। চলতি কথায় এটাকে বলে থাকি চোখের খিদে। আবার কখনও কখনও এমনটা হয় যে, কোনও একটা বিশেষ খাবার খেতেই খুব ইচ্ছে করছে। কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছে তা আসলে নির্ভর করে আমাদের শরীরের উপর। ব্যাপারটা মোটেও চোখের খিদে নয়। প্রতিটা বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই যোগ রয়েছে আমাদের শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের। অনেকে মনে করেন, মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে মানেই ডায়াবিটিস হয়েছে। তবে এমনটা ঠিক নয়, অনেক সময় দেখা যায় খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলে, আমাদের অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে সারা ক্ষণ যদি মিষ্টি খাই-খাই করি তা কিন্তু মোটেই স্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এলে আমাদের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে গেলে: আমাদের রোজের ডায়েটে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের ভারসাম্য ঠিক রাখা ভীষণ জরুরি। বেশি মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে আরও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। আর যত ক্ষণ না পর্যন্ত একটা বড় মাপের রসগোল্লা মুখের মধ্যে ফেলছেন, তত ক্ষণ শান্তি পান না।
২) ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুমালে তবেই শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। লেপটিন নামক হরমোন শরীরে ঠিক কোন খাদ্যটা কতটা প্রয়োজন, কোন খাবারটা আর খেতে ইচ্ছে করছে না— এই সবের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এই হরমোনের উৎপাদন মাত্রা কমে যায়। ফলে ভাজাভুজি, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
মানসিক চাপের কারণেও মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
৩) মানসিক চাপ: মানসিক উদ্বেগ ও চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ইনসুলিনের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে। তাই চিনিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়।
৪) খনিজের ঘাটতি: পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি খনিজের অভাব ঘটলেও মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
৫) হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে: ঋতুস্রাব চলাকালীন কিংবা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এই কারণে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।