ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম নিয়ন্ত্রণের টোটকা ছবি: সংগৃহীত
ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম বা আইবিএস পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা। এই সমস্যায় মলত্যাগের প্রবণতায় আকস্মিক কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষত দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে ভোগা মানুষদের মধ্যে এই সমস্যার প্রবণতা বেশি। আসলে মস্তিষ্ক বিভিন্ন স্নায়ুদ্বারা খাদ্যনালীর সঙ্গে যুক্ত। তাই খাদ্যনালীর সমস্যায় যেমন সঙ্কেত পায় মস্তিষ্ক, তেমনই মস্তিষ্কের অসুবিধাও প্রকাশ পায় পেট খারাপের মধ্য দিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যা খুব একটা গুরুতর না হলেও দীর্ঘ দিন অবহেলা করলে ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম দীর্ঘস্থায়ী পেটের গোলযোগ ও আলসারের মতো রোগ ডেকে আনতে পারে। অনেক সময়ে এই অসুখ গুরুতর কোনও অন্তর্নিহিত সমস্যার সঙ্কেতও হতে পারে। তবে সমস্যা অল্প হলে কাজে আসতে পারে সহজ কিছু টোটকা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। মানসিক চাপ যেহেতু এই সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে তাই চেষ্টা করতে হবে মানসিক চাপ কমাতে। দুশ্চিন্তাজনিত পেটের সমস্যায় উপশম মিলতে পারে আদা খেলে। এক টুকরো আদার কুচি চিবিয়ে খেলে এই ধরনের সমস্যায় উপকার মেলে।
২। অতিরিক্ত চা-কফি বাড়িয়ে দেয় এই রোগের ঝুঁকি। দুশ্চিন্তার সময়ে কফি খান অনেকেই। কিন্তু কফিতে দুশ্চিন্তা তো কমেই না, উল্টে এতে থাকে ক্যাফিন যা খাদ্যনালীকে আরও উদ্দীপিত করে। ফলে পেটের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পেট গুড়গুড় না কমা পর্যন্ত তাই কফি না খাওয়াই ভাল।
৩। নিয়মিত শরীরচর্চা ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১৫-৩০ মিনিট অবশ্যই শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি শ্বাসের ব্যায়াম, যোগাভ্যাস বা ধ্যানও এই সমস্যায় উপযোগী হতে পারে। এই ধরনের অভ্যাসগুলি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যা পরোক্ষ ভাবে পেটের সমস্যা কমায়।
৪। ভেষজ সুগন্ধি মাখতে পারেন। বিভিন্ন ভেষজ তেলের মৃদু সুবাসে শান্ত থাকে স্নায়ু। ফলে কমে ইরিটেবল বাওল সিনড্রোমের আশঙ্কা
৫। ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন। যে কোনও ধরনের নেশাই স্নায়ু তন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তা ছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান খাদ্যনালি ও লিভারের সমস্যা বৃদ্ধি করে, যা ইরিটেবল বাওল সিনড্রোমও বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি এই ধরনের সমস্যায় অনেকেই মুড়ি মুড়কির মতো ওষুধ খান। নিজের খেয়াল খুশিতে এ ভাবে ওষুধ খেলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাই সমস্যা দীর্ঘ দিন না কমলে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।