রোজ কলা খেলে কী হয়? ছবি: সংগৃহীত।
সকালের জলখাবারে টোস্ট, দুধ-কর্নফ্লেক্স, পরিজ়ের সঙ্গে কলা খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। তবে তরুণ প্রজন্ম মনে করেন, কলা খেলেই না কি ওজন বেড়ে যায়। তাই এই ফলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই পছন্দ করেন অনেকে। তবে কলায় যে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটা বেশি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে এই ফল খেলে ওজন বাড়তে পারে। আবার যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁদের জন্যেও এই ফল ভাল নয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাধারণেরা রোজ একটি করে কলা খেলে খুব একটা ক্ষতি হবে না বরং উপকারই হবে। কলা খেলে কী রকম উপকার হবে?
১) পটাশিয়ামের উৎস
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে কলা। কারণ, এই ফলের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। হার্ট ভাল রাখতে এবং পেশি মজবুত রাখতে এই খনিজের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২) হজমে সহায়ক
এই ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। বিজ্ঞানীদের মতে, ২৫ গ্রাম মতো ফাইবার খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা এক ধাক্কায় ৪০ শতাংশ কমে যায়। ফলে কলা খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমবে।
৩) শক্তি জোগায়
কায়িক পরিশ্রমের কাজ করলে শক্তি প্রয়োজন। তৎক্ষণাৎ শক্তির জোগান দিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে কলা উপর ভরসা রাখতে পারেন। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। শরীরচর্চা করার আগে কিংবা পরেও কলা খাওয়া যেতে পারে।
দুর্বল পেশি, পেশিতে ব্যথা কিংবা টান লাগার সমস্যায় দারুণ কাজ করে কলা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পেশি মজবুত করে
দুর্বল পেশি, পেশিতে ব্যথা কিংবা টান লাগার সমস্যায় দারুণ কাজ করে কলা। কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। এই খনিজটি পেশি মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
৫) হাড়ের জন্য ভাল
কম বয়স থেকেই হাড়ের যত্ন নিতে হয়। না হলে দেহের কাঠামোটিই নড়বড়ে হয়ে পড়ে। হাড়ের যত্নে ক্যালশিয়ামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কলা এই খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে। যা পরবর্তী কালে অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।