Indoor Plants

৫ গাছ: ঘরের বাতাস বিষমুক্ত করতে এবং ফুসফুস ভাল রাখতে পারে

ঘরের ভিতরের বাতাস পরিস্রুত করতে অনেকেই পরিশোধক যন্ত্র রাখেন। তবে, এমন কিছু গাছ রয়েছে যেগুলি পরিশোধন যন্ত্রের মতোই ঘরের দূষিত বাতাস পরিস্রুত করতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ১৪:৪৫
Share:

ফুসফুস ভাল রাখার গাছ। ছবি: সংগৃহীত।

সারা বছরই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন। সেই কষ্ট আবার সময়বিশেষে মারাত্মক আকার ধারণ করে। কারও আবার ‘ইনহেলার’ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। চিকিৎসকেরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে চট করে ঠান্ডা লেগে যায় অনেকের। আবার, নানা রকম ভাইরাসের আক্রমণেও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বেড়ে যায়। ঘরের বাইরে তো বটেই, ঘরের ভিতরের বাতাসও কিন্তু নানা কারণে দূষিত হয়ে উঠতে পারে। ঘরের ভিতরের বাতাস পরিস্রুত করতে অনেকেই পরিশোধক যন্ত্র রাখেন। তবে, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলি ঘরের ভিতর রাখলে অক্সিজেন ছড়ায়। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ধরনের গাছ ঘরের ভিতর রাখা যায়?

Advertisement

১) স্পাইডার প্ল্যান্ট

এই গাছ ঘরের ভিতরে বাঁচানো খুব সহজ। ফর্মালডিহাইড এবং জাইলেনের মতো দূষিত পদার্থ বাতাস থেকে টেনে নেয় এই গাছ। শিশু এবং পোষ্যেরাও নিরাপদ এই গাছ থেকে।

Advertisement

২) অ্যালো ভেরা

অ্যালো ভেরা সাকিউলেন্ট বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। অর্থাৎ অল্প জলে, শুকনো আবহাওয়াতেও অ্যালো ভেরা ভাল থাকে। টবে ক্যাকটাস সয়েল অথবা সাধারণ মাটি ভরে দিন। খেয়াল রাখুন, যেন প্রতিটি টবেই বেশ কয়েকটি করে গর্ত বা ড্রেনেজ হোল থাকে। কারণ, মাটি অতিরিক্ত জল ধারণ করলে অ্যালো ভেরা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩) ফার্ন

পাহাড়ের গা বেয়ে অযত্নে গজিয়ে ওঠা ফার্ন দিয়ে ঘর সাজালে দেখতে ভালই লাগে। তবে শুধু ঘরের সাজসজ্জা নয়, চার দেওয়ালের মধ্যে বাতাসে মিশে থাকা নানা রকম অশুদ্ধি শুষে নিতে পারে ফার্ন। ফর্মালডিহাইড এবং জাইলেনের মতো দূষিত পদার্থও শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে পাহাড়ি এই গাছটি।

অ্যান্থুরিয়াম বা ফ্ল্যামিংগো লিলি। ছবি: সংগৃহীত।

৪) অ্যান্থুরিয়াম বা ফ্ল্যামিংগো লিলি

ঘরের যে কোনও জায়গায় রাখা যায়। আলো ভালবাসে এই গাছ। সারা বছর লাল রঙের ফুল ফোটে। পিস লিলির মতো এর মাটিও একটু ভিজে রাখতে পারলে ভাল হয়। বাতাস থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ শোষণ করে নিতে পারে এই গাছ।

৫) পিস লিলি

বাকি গাছগুলির মতো এটিও বাতাস ভারী হতে দেয় না। ফলে অস্বস্তি কম হয়। সামান্য যত্নেই দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। তবে কড়া রোদ আসে, ঘরের এমন জায়গায় এই গাছ না রাখাই ভাল। মাটি একটু ভেজা ভেজা থাকলে এই গাছ খুব ভাল থাকে। সারা বছর ধরেই এ গাছে সাদা ফুল হয়। যা এই গাছের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ। সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে এই গাছ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement