প্রতীকী ছবি।
দুপুরে যতই পঞ্চব্যঞ্জন খাওয়া হোক, সন্ধ্যা নামার মুখে পেটের মধ্যে ঠিক ছুঁচোয় ডন মারতে শুরু করবে। বিশেষ করে অফিসে থাকলে আরও বেশি খিদে পেয়ে যায়। কাজের ফাঁকে দুপুরে ঠিক করে খাওয়া হয় না। ফলে সূর্য ডুবতে না ডুবতেই খিদে পেয়ে যায়। অনেকেই মুখ চালানোর জন্য অফিসের ড্রয়ারে বাদাম, বিস্কুট রাখেন। কিন্তু প্রতি দিন তো আর সে সব খেয়ে মন ভরে না। তবে চাইলেই বাইরে থেকে কাটলেট, এগরোল, মোগলাই, পিৎজ়া আনিয়ে খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে গরমে আর অনেকেই বাইরের তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। সে ক্ষেত্রে বিকল্প আর কী হতে পারে?
দোসা
গ্রীষ্মকালের সন্ধ্যার উপযুক্ত জলখাবার হতে পারে দোসা। তেল-মশলা ছাড়া এমন স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার দুটো নেই। তা ছাড়া একটা দোসা খেয়ে নিলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। দোসা খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই। পেটও সুস্থ থাকে।
মুড়ি আর বাদাম
সন্ধেবেলায় বাঙালি বাড়িতে চায়ের মুড়ি খাওয়ার চল আছে। বর্ষা কিংবা শীতকালে মুড়ির সঙ্গে কখনও কখনও থাকে চপ-শিঙাড়াও। কিন্তু গরমে তো চপ না খাওয়াই ভাল। সন্ধেবেলায় মুড়ি-বাদাম খেতেই পারেন। বাদামের স্বাস্থ্যগুণ বলা বাহুল্য। গরমে অস্বস্তিরও জন্ম দেবে না সান্ধ্যকালীন এই টিফিন।
স্যান্ডউইচ
বাইরে থেকে খাবার যদি আনতেই হয়, তবে স্যান্ডউইচ আনাতে পারেন। চিকেন হতে পারে। কিংবা মেয়োনিজ দেওয়া ভেজ স্যান্ডউইচও হতে পারে। যা-ই হোক না কেন, এগরোল কিংবা চাউমিনের চেয়ে অনেক ভাল। পেটের গোলমালের কোনও ঝুঁকি নেই। পেটও ভরবে।
মাখানা
সন্ধেবেলায় কাজের ফাঁকে মুখ চালানোর জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে পারেন ভাজা মাখানা। এক ফোঁটা ঘি দিয়ে ভাজলেই ফুলে ওঠে। উপর থেকে গোলমরিচ ছড়িয়ে খেতে পারেন। বেশ ভাল লাগবে।
পপকর্ন
গরমে সন্ধ্যার জলখাবারের বিকল্প হতে পারে পপকর্ন। সিনেমা দেখতে দেখতে পপকর্ন খেতে বেশ মজাই লাগে। কাজের ফাঁকে মুখে পুরলেও দেখবেন কখনও কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার পপকর্ন খেলে পেটও ভরা থাকবে।