থাইরয়েড থাকলে কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? ছবি: শাটারস্টক।
অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন? সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে সারা দিন আলস্য কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না? ভালমন্দ না খেয়েও বেড়ে যাচ্ছে ওজন, অকালে ঝরে যাচ্ছে চুল, ত্বক জেল্লাহীন দেখাচ্ছে? ছোটখাটো এই শারীরিক সমস্যাগুলি দেখেও আমরা অবহেলা করি। তবে এই লক্ষণগুলি পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে থাইরয়েডের চোখরাঙানি। শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে দীর্ঘ দিন ওষুধের উপর নির্ভর করতে হয়। ওষুধের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না রাখলেই সমস্যা বাড়বে। যাঁরা নিয়মিত থাইরয়েডের ওষুধ খান, তাঁদের কয়েকটি খাবার থেকে দূরত্ব রেখে চলতে হবে। জেনে নিন থাইরয়ে়ডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন।
১) সয়াবিন বা সয়াবিনজাত সব খাবার: থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সয়াজাতীয় কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। ভাইপার থাইরয়েডিজ়মের সমস্যা থাকলে সয়াবিন, সয়া দুধ, টফুর মতো খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
২) বাঁধাকপি-ফুলকপি: কপির মতো যে কোনও খাবার যাতে গয়েট্রোজেন যৌগ আছে তা কিন্তু থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি, ব্রকোলি ও কেল পাতার মতো শাকসব্জি রাখেন ডায়েটে। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে এগুলি মেপে খাওয়াই শ্রেয়।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে একেবারেই খাবেন না। ছবি: শাটারস্টক।
৩) কফি: সকালে কফির কাপে চুমুক না দিলে ঘুম ভাঙে না? তবে থাইরয়েড থাকলে অত্যধিক ক্যাফিন এড়িয়ে চলাই ভাল। একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে একেবারেই খাবেন না। ঘন ঘন কফি না খাওয়াই ভাল।
৪) মিষ্টি: থাইরয়েড থাকলে মিষ্টি খাওয়াতেও লাগাম টানতে হবে। যে কোনও খাবার যাতে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, তা ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫) প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজত খাবার: বাজারের প্যাকেটবন্দি খাবারে বাড়তি নুন চিনি এবং তেল থাকবেই। প্রক্রিয়াজাত খাবারেও নুন থাকে। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।