চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল শরীরে আয়রনের ঘাটতি। ছবি: শাটারস্টক।
বিশ্বায়নের যুগে কর্মব্যস্ততা আর আধুনিক ও যন্ত্রনির্ভর জীবনযাপনের হাত ধরে মেয়েদের শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা অসুখ। এমন জীবনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম। এই সবের যোগফলে ডিম্বাশয়ে দেখা দিচ্ছে একাধিক সিস্ট। চিকিৎসার পরিভাষায় এর নাম ‘পলিসিস্টিক ওভারি’ বা ‘পিসিওডি’। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে একাধিক উপসর্গ দেখা যায় মহিলাদের শরীরে। কারও মুখ ভরে যায় ব্রণয়, কারও আবার ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে শুরু করে। এই রোগে আক্রান্ত হলে আরও একটি সমস্যা পড়েন মহিলারা। শরীরে পিসিওডি বাসা বাঁধলে চুল ঝরতে শুরু করে। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে আর এই হরমোনই চুল ঝরে যাওয়ার মূল কারণ হয়ে দাড়ায়।
এই রোগে আক্রান্ত হলে কী ভাবে চুল ঝরার সমস্যা মোকাবিলা করবেন?
আয়রনে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে: চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল শরীরে আয়রনের ঘাটতি। পিসিওডিতে আক্রান্ত হলে শরীরে ফেরিটিনের (ব্লাড প্রোটিন যা আয়রন সমৃদ্ধ) মাত্রা কমে যায়। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখতে হবে। ওট্স, টফু, কাজুবাদাম, ডাল, সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে।
চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। ছবি: শাটারস্টক।
ডায়েট থেকে গ্লুটেনে সমৃদ্ধ খাবার বাদ রাখতে হবে: দুগ্ধজাত ও গ্লুটেন জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এর ফলেই চুল ঝরতে শুরু করে। পিসিওডির সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট থেকে গ্লুটেরযুক্ত খাবার বাদ দিতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
মানসিক চাপ কমাতে হবে: চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে মানসিক চাপ। মানসিক চাপ বাড়লে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই কারেই বেশি করে চুল ঝরতে শুরু করে। পিসিওডির সমস্যা থাকলে নিয়মিত যোগাসন করার অভ্যাস করুন। এতে মানসিক চাপও কমবে আর পিসিওডি-র সঙ্গেও লড়াই করা সম্ভব হবে।