রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে কোন ৫ ঘরোয়া দাওয়াই ? ছবি: শাটারস্টক
আধুনিক জীবনের দুশ্চিন্তা, কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ, রোজের টানাপড়েনে রক্তচাপ যখন-তখন বেড়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিপদসীমার কাছে পৌঁছনোর আগে রোগী তা অনুভব করতে পারেন না। এই একটি রোগের হাত ধরেই হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চল্লিশের পর থেকেই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপা দরকার। তবে নয়া প্রজন্মের অনেকেরই তিরিশের পরেও এই সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে দায়ী খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা। হাইপার টেনশন (উচ্চ রক্তচাপ) ও হাইপো টেনশন (নিম্ন রক্তচাপ)-এর মধ্যে হাইপার টেনশনের সমস্যাই বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকের মতে, আশি-নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ‘এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন’। অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি কমতে থাকে। রক্তবাহগুলিও ব্যতিক্রম নয়। তাই প্রাকৃতিক নিয়মেই নির্দিষ্ট বয়সের পরে রক্তচাপ একটু বেশির দিকেই থাকে। তবে সেটা নিয়ন্ত্রণসীমা পার করলেই সমস্যা।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও রক্তচাপের ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়। এমনকি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসীমার মধ্যে থাকলেও। রোগীকে রক্তচাপের ওষুধ দেওয়া হয় সেই ওষুধের কার্যক্ষমতার সময়সীমার ভিত্তিতে। শুধু ওষুধ খেলেই চলবে না, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম করে। যোগাসন এ ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। এ সবের পাশাপাশি রোজ কিছু পানীয় ডায়েটে রাখলেও রক্তচাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। জেনে নিন কোন কোন পানীয় এ ক্ষেত্রে সুফল দিতে পারে।
টম্যাটো স্যুপ
টম্যাটোতে রয়েছে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপেন। টম্যাটোর উপকারিতার শেষ নেই। নিয়মিত টম্যাটোর রস খেলে সিস্টোলিক এবং ডিস্টোলিক উচ্চ রক্তচাপের মাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে।
বেদানার রস
বেদানায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমায়। বেদানায় রয়েছে এক ধরনের প্রোটিন, যা রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্ত চলাচল সচল রাখে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।
নিয়ম করে রোজ বিটের রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
বিটের রস
বিটের মধ্যে নাইট্রেট থাকে, যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়ম করে রোজ বিটের রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, শরীরও থাকে চাঙ্গা।
ডাবের জল
এতে ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে। ফলে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতেই এই পানীয় ওষুধের মতো কাজ করবে। ডাবের জলে রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইটের মতো উপাদান, রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এমনকি, হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে ডাবের জল।
স্কিম্ড মিল্ক ও কলার স্মুদি
এই দুধে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কলাতেও ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই দুইয়ের মিশ্রণে স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যেতেই পারে।