অঙ্কুরিত মুগ খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
তরকা রাঁধবেন বলে সবুজ মুগডাল ভিজিয়ে ছিলেন। সেখান থেকেই বেশ খানিকটা ডাল বেঁচে গিয়েছে। পরের দিন সেই ডাল দিয়ে কিছু একটা রান্না করবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু মুশকিল হল সেই ডাল থেকে কল বেরিয়ে গিয়েছে। এমনটা হলে সাধারণত চাটজাতীয় খাবার বানানো হয়। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অঙ্কুরিত মুগের অনেক গুণ। ভেজানো ছোলা, বাদামের কিংবা বীজের সঙ্গে নিয়মিত এক বাটি মুগ খেতে পারলে অনেক রোগই বশে থাকবে।
অঙ্কুরিত মুগডাল খেলে শরীরের কী উপকার হবে?
১) হজমে সাহায্য করে
ডালের মধ্যে যে প্রোটিন থাকে, তা অনেক সময়ে হজম করতে সমস্যা হয়। সেই ডাল থেকে অঙ্কুর বেরিয়ে গেলে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। ফলে গ্যাস, পেটফাঁপার মতো সমস্যা বশে থাকে। ‘জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অঙ্কুরিত মুগ খেলে হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলির ক্ষরণ বেড়ে যায়।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট মেনে খাবার খান, তাঁরা রোজ অঙ্কুরিত মুগ খেতে পারেন। মুগের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই অঙ্কুরিত মুগডাল খেলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা বলছে, ফাইবার-যুক্ত খাবার অন্ত্রের কাজকর্ম ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফলে বিপাকহারও ভাল হয়।
অঙ্কুরিত মুগডাল হার্টের জন্য ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
৩) হার্টের জন্য ভাল
অঙ্কুরিত মুগডালের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। যা উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ‘জার্নাল অফ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অঙ্কুরিত মুগডাল অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
অঙ্কুরিত ছোলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। এই খাবারে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ‘জার্নাল অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজ়ম’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে এবং টাইপ ২ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অঙ্কুরিত মুগ খাওয়া যেতেই পারে।
৫) ত্বক ভাল রাখে
অঙ্কুরিত মুগ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎস। ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনলের মতো যৌগ রয়েছে এই খাবারে। ‘জার্নাল অফ ডার্মাটোলজিক্যাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত গবেষণা বলছে, এই পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের জন্য তো বটেই। ত্বকের জন্যেও ভাল। অল্পবয়সে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া, বলিরেখা বা কালচে দাগছোপ পড়ার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।