পেটের মেদ কমাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত
রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করছেন। অথচ ফল কিছুই পাচ্ছেন না? তা হলে ধরে নিতে হবে, কোথাও ভুল হচ্ছে। প্রথমেই মনে রাখতে হবে:
পেটের মাংসপেশি
পেটের ব্যায়াম করা সময় খেয়াল রাখুন, পেটের পেশিগুলির উপর যেন চাপ পড়ে। প্ল্যাঙ্ক বা সিট আপ করার সময় আমরা অনেক সময় ভুল করে ঘাড় বা পায়ে চাপ দিয়ে ফেলি। তাতে ঘাড়ে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যাথার মতো সমস্যা হতে পারে। কিন্তু পেটের মেদ একেবারেই কমে না।
ওয়েট ট্রেনিং
এটি করলে তবেই পেশি সুগঠিত হবে। সেটা না হলে হজমশক্তি বা শরীরের মেটাবলিজম রেটও বাড়বে না। ফলে ওজন কমাতে অসুবিধা হবে। সাধারণ ব্যায়ামগুলি করার সময়ই কিছু ওজন নিয়ে নিন। কম অভ্যস্ত হয়ে গেলে ওজন বাড়িয়ে দিন। তবে ওয়েট ট্রেনিং মানেই বাড়িতে প্রচুর ডাম্বল কিনে রাখতে হবে না। জলের বোতল দিয়েও করতে পারেন। প্রথমে ৫০০ মিলিলিটার, তার পরে ১ লিটারের।
পেটের মেদ কমাতে খাবারে নজর দিচ্ছেন তো?
কার্ডিও
স্পট রিডাকশন বা শরীরের যে কোনও একটা জায়গা থেকে মেদ কমানোর ধারণা ভুল। কার্ডিও করতেই হবে। রোজ জগিং বা স্পট ওয়াকিং করতে না ইচ্ছে হলে নাচ, জুম্বা, অ্যারোবিক্সও করতে পারেন। সাঁতার খুব ভাল কার্ডিও ব্যায়াম। কিন্তু এই অতিমারিতে সেটা সম্ভব না হলে সকালে সাইক্লিং করতে পারেন। তাতে পেটের মেদ কমবে।
খাবারে নজর দিন
নিয়ম মেনে না খেলে কোনও দিনই ক্যাটরিনা কইফ বা দিশা পটনির মতো টানটান পেট পাবেন না। দিনে ৫-৬ বার খান। প্রতি বারই অল্প পরিমাণে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি রাখুন। ফল-আনাজ-তরকারি খান। চিনি আর ময়দা ডায়েট থেকে বাদ দিন। বেশি করে জল খান। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার।