প্রতীকী ছবি
‘স্বাস্থ্যই সম্পদ’-- এই আপ্তবাক্য কানে প্রবেশ করলেও অনেকেই এর মর্মে পৌঁছনোর কথা ভাবেন না। অথচ গত প্রায় দু'বছর ধরে গৃহবন্দি থাকতে থাকতে টের পাওয়া গিয়েছে যে, শরীর যদি সুস্থ না থাকে তবে সব কাজই মাটি। অতিমারি এখনও বহমান এবং তার ফলে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সবাই অবসন্ন হয়ে পড়ছেন কমবেশি। এই অবস্থায় শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চার। আশপাশের জিমে ভর্তি হওয়া ছাড়াও তাই আগামী বছরে চাঙ্গা থাকার জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে, তা জেনে রাখা এখন জরুরি।
অ্যাপই এখন আপৎকালীন সঙ্গী
শরীরচর্চার অ্যাপগুলি দীর্ঘদিন ধরেই অনেকের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে এবং ক্রমশ এখন জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। প্রকৃতপক্ষে বাড়ির মধ্যে থেকেও সঠিক নির্দেশনা পেয়ে শরীরচর্চা করার জন্য এই ধরনের অ্যাপের উপযোগ খুবই। এ ছাড়া অনেকেই এখন অনলাইনে ব্যয়ামের ক্লাস করান, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।
বাড়িতেই করুন জিমের কসরৎ
অনেক তারকাই নিজের বাড়িতে জিমের সরঞ্জাম এনে বাইরে না গিয়ে শরীরচর্চা করেন। সে পথে হাঁটছেন অনেক সাধারণ মানুষও। দামি সরঞ্জামে অর্থ ব্যয় না করে অল্প কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস যোগাড় করে নিয়ে বাড়িতেই শুরু করুন ব্যায়াম। এই পরিস্থিতিতে তা জরুরিও বটে।
যোগব্যায়ামে থাকুক ভরসা
নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে যুঝতে অনেকেই মানসিক ভাবেও ক্লান্ত হয়ে পড়েন। যার প্রভাব অনিবার্যভাবেই পড়ে দেহেও। মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্য একসঙ্গে ঠিক রাখতে যোগব্যায়ামের উপকারিতা প্রশ্নাতীত। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সহযোগিতায় নিয়মিত কিছুক্ষণ যোগব্যায়াম করলে শরীর-মন দুইই থাকবে তরতাজা।
প্রকৃতির কোলে শরীরচর্চা
অতিমারিকালে ঘরে থাকতে থাকতে ক্রমশ উপলব্ধি হয়েছে যে, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত থাকলে শরীর সতেজ থাকে অনেকখানি। ফলে সূর্যের আলোয় কিংবা গাছপালার মধ্যে মাঝে মাঝে শরীরচর্চার চেষ্টা করুন। এতে শরীরে আসবে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং মনও থাকবে চাঙ্গা।
হাঁটার বিকল্প নেই
অনেকেই নিয়মিত ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম বা জিম করতে একেবারে পছন্দ করেন না। বিশেষজ্ঞরা তাঁদের পরামর্শ দিচ্ছেন দিনের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করতে। এতে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের পাশাপাশি ক্লান্তি অনেকটাই দূর হবে।