ম্যাট কিনতে গেলে আগে দেখতে হবে তা কতটা মোটা। ছবি: সংগৃহীত।
আগে বাড়ির পাতলা তোষক বা গদির উপর যোগাসন করার চল ছিল। কিন্তু এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন। শরীরচর্চা করতে গিয়ে যেন দেহের কোথাও চোট না লাগে সেই বিষয়টি যেমন মাথায় রাখতে হয়, তেমন ফ্যাশনের কথা না ভাবলেও চলে না। কালো, ধূসর বা নীল— ওই একরঙা ম্যাটের উপর প্রতি দিন যোগাসন করতে ভাল না-ও লাগতে পারে। অনলাইনে ইদানীং সব কিছুই কিনতে পাওয়া যায়। তাই দোকানে ঘুরে ঘুরে গুণমান বা দাম বিচার করার কোনও মানেই হয় না। বাজেট এবং নিজের প্রয়োজন বুঝে ম্যাট কেনা যেতেই পারে। তবে অনলাইন বা অফলাইন— যেখানেই ম্যাট কিনুন না কেন, তার আগে মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়।
১) কী দিয়ে তৈরি
ম্যাটটি যেন নরম উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। যোগাসনের বেশির ভাগ ম্যাটই পিভিসি বা ভিনাইল দিয়ে তৈরি। এখন রবার দিয়েও তৈরি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে ভাল এই ভিনাইলের তৈরি ‘ম্যাট’। ঠিক মতো ব্যবহার করলে ১০-১২ বছর চলে। আর মাটিতে স্লিপ করে যাওয়ার ভয়ও থাকে না।
বাজেট এবং নিজের প্রয়োজন বুঝে ম্যাট কেনা যেতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত।
২) কত মোটা
ম্যাট কিনতে গেলে আগে দেখতে হবে তা কতটা মোটা। কারণ, তার উপরই নির্ভর করছে আরাম। ম্যাট যদি খুব পাতলা হয়, তা হলে কোমর, হাঁটু ও গোড়ালিতে চোট লাগতে পারে। আবার খুব মোটা হলেও বেশ কিছু আসন বা ব্যায়ামে সমস্যা হতে পারে। ভারসাম্যেরও অভাব হতে পারে তাতে।
৩) স্টাইল
শুধু যোগাসন করলেই তো হবে না। সঙ্গে সমাজমাধ্যমে ছবিও দিতে হবে। রিলও বানাতে হবে। তাই ম্যাট কেনার আগে সেই সব মাথায় রাখা জরুরি। তা ছাড়া প্রত্যেক দিন সকালে শরীরচর্চা করার উৎসাহ জোগাতেও সাহায্য করে রঙিন আঁকিবুকির বিভিন্ন ম্যাট।