কোন পানীয়ে চুমুক দিলেই কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে? ছবি: শাটারস্টক।
হজমে গোলমাল হলেই একটুখানি জোয়ান মুখে দিলেই সমস্যার সমাধান! কিন্তু জোয়ান মানে শুধুই হজমজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া নয়, বরং জোয়ানে রয়েছে এমন অনেক গুণ, যা আপনার শরীর চাঙ্গা রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজে আসবে। ভাজা জোয়ান বা মশলা জোয়ানের চাহিদা এতটাই যে, সাধারণ মুদির দোকান থেকে বাসেট্রামেও এই জিনিস বিক্রি করেন হকাররা। শুধু হজমশক্তি বাড়ানোই নয়, পেপটিক আলসার থেকে রেহাই পেতেও জোয়ান বেশ উপকারী। এ ছাড়া আর কী কী ভাবে জোয়ান আপনাকে সাহায্য করতে পারে?
১) জোয়ানে রয়েছে থাইমল তেল। তাই যে কোনও ব্যথা কমাতে জোয়ান কার্যকর। জোয়ানের তেল আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ। হাঁটু, কোমর বা গাঁটের ব্যথায় জোয়ানের তেল কাজে লাগতে পারে।
২) জোয়ান বেটে কপালে লাগালেও মাইগ্রেনের ব্যথা কমে। জোয়ান গুঁড়ো করে একটি কাপড়ে মুড়ে তা শুঁকলেও মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জোয়ানে থাকা থাইমল নামক যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের প্রভাবে ঠান্ডা লেগে হওয়া অসুখগুলি থেকে বাঁচতেও জোয়ান খুব কার্যকর। বুকে জমা শ্লেষ্মা কাটাতে জোয়ানের জল খুব উপকারী। গলায় ব্যথা হলেও জোয়ান ও নুন মেশানো গরম জলের ভাপ নিলে তা দ্রুত কমে।
৪) জোয়ান ফাইবার সমৃদ্ধ, তাই ওজন কমাতেও খুব সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে একটু আদা কুচি ও জোয়ান মিশিয়ে তা ফুটিয়ে তাতে লেবুর রস মেশান। এই জল পান করুন প্রতি দিন সকালে। বিপাক হার বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর এই পানীয়।
৫) কিডনির নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে জোয়ান। বিশেষ করে, কিডনির স্টোনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে জোয়ান।
৬) জোয়ানে থাকা থাইমল নামক যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়ম করে জোয়ানের জল খেতে পারেন।
৭) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও জোয়ান বেশ উপকারী। হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও জোয়ান কাজে আসে।