ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে যতই শরীরচর্চা, যোগাসনের বিকল্প থাক, নিয়মিত হাঁটার সঙ্গে সত্যিই কোনও কিছুর তুলনা হয় না। তবে এ ক্ষেত্রে ১১ মিনিট করে হাঁটার বাড়তি গুরুত্ব আছে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, ১১ মিনিট হাঁটলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে। এমনকি ক্রনিক রোগের সমস্যাও কমে। 'ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন'-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, নিয়ম করে যদি ১১ মিনিট হাঁটা যায় তা হলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে প্রায় ২৫ শতাংশ।
রোজের ব্যস্ততম জীবন থেকে ১১ মিনিট বার করে যদি হাঁটতে পারেন, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তা হলে ১১টি রোগের ঝুুঁকি কমবে। কোন কোন রোগের হাত থেকে মুক্তি দেবে ১১ মিনিটের হাঁটাহাঁটি?
১) ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করবে। রোজ যদি ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তা হলে ওজন কমে সহজেই।
২) হার্টের রোগীদের জন্য এই ১১ মিনিট ধরে হাঁটাহাঁটি বেশ কার্যকরী। হার্টের সমস্যা থাকলে শরীরচর্চা করতেই হয়। তবে ব্যায়ামের বিকল্প হতে পারে হাঁটা।
৩) মানসিক অবসাদ কমে যায়। ইঁদুরদৌড়ের জীবনে উদ্বেগ, অবসাদ রোজের সঙ্গী। এই ১১ মিনিটের হাঁটাহাঁটিতে মনের ভার অনেকটাই লাঘব হবে।
৪) বয়স না বাড়লেও গাঁটে গাঁটে ব্যথা লেগেই আছে। রোজ ১১ মিনিট করে হেঁটে দেখুন। স্বস্তি পাবেন।
৫) টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমবে ১১ মিনিট হাঁটলে। ডায়াবেটিকরাও সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে এই পথ হাঁটা।
৬) ফিট থাকতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া জরুরি। রোজ সকালে যদি ১১ মিনিট করে হাঁটতে পারেন, অনিদ্রা রোগ ধারেকাছে আসতে পারবে না।
৭) হজমের গোলমাল ঠেকাতে ১১ মিনিট হাঁটা সত্যিই বেশ উপকারী। এমনিতে হাঁটাচলা করলে হজম ভাল হয়। তবে ঘড়ি ধরে হাঁটলে বাড়তি উপকার আছে।
৮) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও হাঁটাহাঁটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিষ্কের কোষে অক্সিজেন এবং প্রোটিন যাতে পরিমাণ মতো পৌঁছয়, তার জন্য হাঁটাচলা করা দরকার।
৯) শুধু ক্যালোরি নয়, শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতেও এই ১১ মিনিট হাঁটার নিয়ম খুবই কার্যকরী। ওজন কমাতে চাইলে এই নিয়ম মানা প্রয়োজন।
১০) মন চাঙ্গা এবং চনমনে করে তুলতে ঘড়ি ধরে ১১ মিনিটের হাঁটাচলা কাজে আসবে। মনখারাপ কমাতে এটি অন্যতম পথ।
১১) সৃজনশীল ভাবনার জোগান দেয় ১১ মিনিটের হাঁটাচলা। সকালের মুক্ত হাওয়ায় ভাবনারাও ডানা মেলার সুযোগ পায়।