পুজোর আগে বাড়ি বসেই ওজন ঝরান। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর ওজন নিয়ে সচেতন থাকলেও, পুজোর আগে রোগা হওয়ার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করেন অনেকেই। কঠোর ডায়েট, বাইরের খাবার খাওয়া থেকে শতহস্ত দূরে থাকা— বাদ দেন না কিছুই। অনেকেই আবার পুজোর শপিং ছেড়ে জিমে গিয়েই কাটিয়ে দেন অনেকটা সময়। তাতে যে চেহারায় বিপুল পরিবর্তন আসে, এমনও নয়। উপরন্তু সময় নষ্ট। রোগা হওয়ার জন্য সব সময়ে জিমে যেতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বাড়িতে বসেও কয়েক দিনের মধ্যেই ওজন ঝরানো সম্ভব। শুধু মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম।
রোগা হওয়ার জন্য সব সময়ে জিমে যেতে হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
ভারী জলখাবার খাওয়া
সকালের খাবারের উপর নির্ভর করে সারা দিনের শরীরের হালচাল। রাতের খাবারের পর প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা পেট খালি থাকে। তাই সকালে তাড়াতাড়ি এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। সঠিক সময়ে জলখাবার খাওয়ার অভ্যাসে হজমশক্তির উন্নতি ঘটে। বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম
গবেষণা বলছে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বডি মাস ইনডেক্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত হলে শুধু ভিতর থেকে ফিট থাকবে শরীর। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া
ওজন কমানোর পথে প্রক্রিয়াজাত খাবার একটি বড় বাধা। ওজন কমাতে চাইলে এ ধরনের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষত, প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত নানা উপাদান ওজন বাড়িয়ে তোলে ও নানা রকম শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে।
স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া
ওজন ঝরাতে সব সময়ে ডায়েট করা জরুরি নয়। স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার খেয়েও কিন্তু মেদ ঝরানো যায়। তাই কার্বজাতীয় খাবার কম খেয়ে প্রতি দিন ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
গরম জলে স্নান করা
৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ে, তা শুধু গরম জলে স্নান করেই পাওয়া যায়। শরীরচর্চা করার সময়ে শরীরে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, গরম জলে স্নান করলেও তা পাওয়া সম্ভব। শরীরের ভিতরে উৎপন্ন এই তাপই দেহের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারে।