ছবি: সংগৃহীত
বাঙালদের ইলিশ নাকি ঘটিদের চিংড়ি— কার পাল্লা ভারী এ নিয়ে আদি অনন্ত কাল ধরে চর্চা হয়ে আসছে। তবে খাদ্যরসিক বাঙালি, বাঙালই হোক বা ঘটি, পাতে ইলিশ আর চিংড়ি দুই-ই থাকে। অনেকেই আছেন যাঁরা চিংড়ি প্রেমী। তা সে মালাইকারি হোক বা ডাব চিংড়ি, কোনওতেই না নেই। তবে জানেন কী চিংড়ি শুধু স্বাদের খেয়ালই রাখে না, শরীরেও যত্ন নেয়।
প্রোটিনের উৎস
গলদা চিংড়ি হোক বাগদা, চিংড়ি মানেই অনেকের কাছে একটা আবেগের নাম। প্রতি ৬৫ গ্রাম চিংড়ি মাছে থাকে ২০ গ্রাম প্রোটিন। যা দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ পূরণ করে।
শরীরে খনিজের চাহিদা পূরণ করে
চিংড়ি মাছে ক্যালোরি কম থাকে। ফলে চিংড়ি মাছ খেলেও ওজন বাড়ে না। এ ছাড়াও চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফসফরাস, এবং জিঙ্ক। জিঙ্ক জাতীয় খনিজ পদার্থ দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখে
চিংড়িতে আছে এইকোসাপেনটাইনোইক এবং ডোকোসাহেক্সাইনোইক অ্যাসিড আছে। এ ছাড়া চিংড়িতে আছে প্রচুর পরিমাণে ডিএইচএ। এই উপাদানগুলি হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখার পাশাপাশি হদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
স্নায়ুর রোগ প্রতিরোধ করে
চিংড়ি মাছ পার্কিনসন’স রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। চিংড়ি মাছে শরীরের যাবতীয় প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের যত্নে
গর্ভে থাকা শিশুর নিউরোকগনিটিভ গঠনে অত্যন্ত উপকারী চিংড়ি মাছ। তবে শুধু চিংড়ি মাছ বলে নয়, সব সামুদ্রিক মাছই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।