অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: শাটারস্টক।
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল, এলডিএল— এই চারটি মিলেই মূলত তৈরি হয় কোলেস্টেরলের পরিবার। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। রক্তবাহকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপ্স, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, সেই সঙ্গে রোজের খাদ্যতালিকায় কিছু পানীয় রাখলেও এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। রোজের ডায়েটে কোন চাটনি রাখলে জব্দ হবে কোলেস্টেরল? তারই হদিস দিলেন পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে পুষ্টিবিদ বলেন, ‘‘আমরা সারা দিনে কী খাচ্ছি, তারই উপর নির্ভর করে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কত খানি জমছে। খারাপ কোলেস্টেরল হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এই রোগের ঝুঁকি কমাতে ডায়েটে এমন কিছু রাখতে হবে, যা প্রাকৃতিক ভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন এক প্রকার চাটনি, যা কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।’’
কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। ছবি: শাটারস্টক।
চাটনি বানানোর উপকরণ
ধনেপাতা: ৫০ গ্রাম
পুদিনা পাতা: ২০ গ্রাম
রসুন: ২০ গ্রাম
তিসির বীজ: ১৫ গ্রাম
ইসবগুল: ১৫ গ্রাম
নুন ও লেবুর রস: স্বাদমতো
জল: পরিমাণ মতো
কী ভাবে বানাবেন?
সব উপকরণ পরিমাণ মতো নিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। বেশি শুকনো হয়ে গেলে জল মিশিয়ে নিন সামান্য মাত্রায়।
পুদিনা ও ধনেপাতায় উচ্চ মাত্রায় ক্লোরোফিল থাকে, যা কোলেস্টেরল কমায় ও হজমেও সাহায্য করে। এই চাটনিতে থাকা রসুন রক্তকে তরল রাখতে সাহায্য করে, ফলে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তিসির বীজে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও কোলেস্টেরলকে জব্দ করতে সাহায্য করে।