জোরে দৌড়োলেই বাড়তে থাকে হার্ট রেট। ছবি: সংগৃহীত
পুজো আসতে বাকি আর মাত্র ২৩ দিন। গত দু’বছরের অতিমারি পর্ব পেরিয়ে পুজো নিয়ে এ বার বেশ সাজ সাজ রব। পুজোর আগে মেদহীন, ছিপছিপে শরীর পেতে সারা দিন টক দই আর শসা খেয়ে দৌড়োচ্ছেন, ভাল কথা। কিন্তু সকালে দৌড়োনোর পর বাড়ি ফিরেই আপনার প্রথম কাজ কী? গরম জলে স্নান? ভুল করছেন। শুনুন বিশেষজ্ঞের মতামত।
দৌড়ে এসে কয়েকটি কাজ সঙ্গে সঙ্গে না করাই শ্রেয়। কী কী করবেন না?
দৌড়ে এসেই জল বা খাবার নয়
দৌড়োনোর ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ক্লান্তি বোধ হয়। তাই অধিকাংশ মানুষের মধ্যে দৌড়ে এসেই জল বা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, যা একেবারেই ভুল। শরীরচর্চা শুরু করার অন্তত পক্ষে আধঘণ্টা আগে এবং পরে জল বা যে কোনও হালকা খাবার খাওয়া উচিত। না হলে দিনের শুরুতেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রম পুরোটাই জলে।
বসে বা শুয়ে থাকা নয়
দৌড়োনো যথেষ্ট পরিশ্রমের কাজ। জোরে দৌড়োলেই বাড়তে থাকে হার্ট রেট। বাড়ে অক্সিজেনের চাহিদাও। তাই বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। তারও কিন্তু নিয়ম আছে। দৌড়ে এসেই চুপচা়প বসে বা শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার চেয়ে হালকা কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘামে ভেজা জামা ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর। ছবি- সংগৃহীত
এক পোশাকে অনেক ক্ষণ, নৈব নৈব চ
দৌড়ে এসে ক্লান্ত হয়ে ওই পোশাকে দীর্ঘ ক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত ঘাম হোক বা না হোক, শরীরচর্চার পরই বাড়ি ফিরে পোশাক বদলে ফেলা জরুরি। ঘামে ভেজা জামা ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর। দীর্ঘ ক্ষণ ভেজা জামা পরে থাকলে ত্বকে নানা রকম সংক্রমণ হতে পারে। বাড়ি এসে স্নান করার সময় না থাকলেও পোশাক বদলে নেওয়া উচিত।
ভারী কাজ নয়
পুজোর আগে সব কাজ শেষ করে ফেলার বাড়তি তাগিদ সবার মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। তা বলে দৌড়ে এসেই ভারী কাজ একদম নয়। ক্লান্ত শরীরে যথাযথ বিশ্রাম না নিয়ে তার উপর আবার কায়িক পরিশ্রম করলে পেশির উপর চাপ পড়ে।
গরম জলে স্নান
দৌড়োনোর পর বাড়ি ফিরেই গরম জলে স্নান না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরচর্চার পর গরম জলে স্নান সাময়িক আরাম দিলেও তা পেশির ব্যথা পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে না। পরিবর্তে ব্যথা স্থানে প্রথমে বরফের ঠান্ডা সেঁক দিয়ে, তার পর ইষদোষ্ণ জলে স্নান করা যেতে পারে।