ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা যেন না বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
ইউরিক অ্যাসিডের চোখরাঙানি অনেককেই সহ্য করতে হয়। শুধু যে বয়স বাড়লেই এ রোগের জীবনের সঙ্গে জুড়ে যায়, তা কিন্তু নয়। ৩০ থেকে ৪০-এর কোঠাতেও ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়ছে। খাওয়াদাওয়া এবং দৈনন্দিন জীবনের অনিয়ম রয়েছে ইউরিক অ্যাসিডের নেপথ্যে। তাই ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নিয়মের গণ্ডিতে বাঁধা পড়ে রোজের জীবন। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হয়। বাইরের খাবার থেকে একেবারেই দূরে থাকা জরুরি। নিয়ম মেনে খেতে হবে ওষুধও। পাশাপাশি খেতে পারেন কিছু ড্রাই ফ্রুটস। ওজন কমাতে যেগুলি খান, ইউরিক অ্যাসিডের দাওয়াই হিসাবে সেই খাবারগুলির ভূমিকা অনবদ্য। কোনগুলি খেতে পারেন?
আখরোট
ইউরিক অ্যাসিড থাকলে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ আখরোট অনায়াসে খাওয়া যেতে পারে। প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া, পেশি কিংবা গাঁটে ব্যথার ক্ষেত্রে প্রোটিনে ভরপুর আখরোট অত্যন্ত উপকারী।
কাঠবাদাম
ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানে ঠাসা কাঠাবাদাম ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য উপকারী। কাঠবাদামে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও, যা ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথাবেদনা ঠেকাতে সক্ষম।
তিসির বীজ
তিসির বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এই ফ্যাট ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বিপদসীমার মাত্রা ছাড়াতে দেয় না। তা ছাড়া, এই বীজের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের যন্ত্রণার উপশম ঘটায়।
কাজু
ইউরিক অ্যাসিড থাকলে অনেকেই কাজুবাদাম খেতে চান না। তবে কাজুবাদামের সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের কোনও বিরোধ নেই। কাজুতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবারের মতো উপকারী পুষ্টিগুণ। ইউরিক অ্যাসিডের বিরুদ্ধে লড়তে ভরসা রাখা যায় এই বাদামে।