ডাবের জল কি বর্ষায় খাওয়া ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
পুরোদস্তুর বর্ষাকাল ঠিকই, তবে গরম এখনও কমেনি। দরদর করে ঘাম না ঝরলেও একটা চাপা অস্বস্তি তো আছেই। আর তাই মাঝেমাঝেই ডাবের জলে চুমুক দিতে ইচ্ছা করে। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে ডাবের জলের সত্যিই বিকল্প নেই। পাশাপাশি শরীরে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতেও ডাবের জল কার্যকরী। ডাবের জলে উপকারিতার শেষ নেই। তবে বেশি ডাবের জল খাওয়ার কিছু সমস্যাও রয়েছে।সেগুলি কী?
১) ডাবের জলে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামের বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ থাকে। যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কারও কারও ক্ষেত্রে তাই খনিজ লবণের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে অতিরিক্ত ডাবের জল খেলে। অতিরিক্ত ডাবের জল পান করলে হতে পারে ‘হাইপারক্যালিমিয়া’। পটাশিয়াম পরিশোধনেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই কিডনির রোগীদের ডাবের জল পান করার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভাল।
২) যাঁরা ডায়াবিটিসে ভুগছেন, তাঁদের ডাবের জল পান করা উচিত কি না, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। দেহে জলশূন্যতা তৈরি হলে ডাবের জল শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, এক কাপ ডাবের জলে প্রায় ৬.২৬ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে। যা রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
৩) ডাবের জলে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। আর অতিরিক্ত সোডিয়াম বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। সোডিয়ামের পাশাপাশি ডাবের জলে থাকে পটাশিয়ামও। যা কমিয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। ফলে যাঁরা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডাবের জল সমস্যা তৈরি করতে পারে।