জিমে ওজন তোলার সময়ে কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন? ছবি: শাটারস্টক
ওজন ঝরানোর জন্য অনেকেই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন। মেদ ঝরাতে ও পেশির জোর বাড়াতে ওয়েট ট্রেনিং অত্যন্ত জরুরি। এখন জিমে গিয়ে অনেকেই ভারী ওজন হাতে তুলে শরীরচর্চা করছেন। কিন্তু এই ওয়েট ট্রনিংয়ের গোড়ায় থেকে যায় অনেক ভুল। কিছু দিন পরে যার খেসারত দেয় শরীর।
প্রথমত ওয়েট ট্রেনিং করার সময়ে এক জন প্রশিক্ষিত ট্রেনারের নজরদারি জরুরি। নিজের ইচ্ছে মতো ওজন তোলার চেষ্টা করলেই হতে পারে হিতে বিপরীত। একেবারে খালি পেটে কখনও ওজন তোলা উচিত নয়। খাবারের পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণের জল খাওয়াও দরকার। না হলে পেশিতে টান লেগে চোট লাগার সম্ভবনা প্রবল। জেনে নিন ভারী ওজন তোলার আগে কোন কোন নিয়ম মেনে না চললেই বিপদ।
১) সপ্তাহে কেবল এক বা দু’দিন ওজন তুললে আপনি কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন না। চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করতে। প্রথম দিকে পর পর তিন দিন না করে এক দিন বাদ দিয়ে করুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে সময় ও দিন বাড়িয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন শরীরের আলাদা আলাদা অংশের জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম করুন। তা হলে পেশির পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাবে প্রতিটি অঙ্গ।
২) ঠিক কতটা ওজন তোলা আপনার জন্য উপযোগী, তা বুঝবেন প্রশিক্ষক। একই ওজনে আটকে থাকলেও চলবে না। সময় ও পেশির শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ওজনেও আনতে হবে তারতম্য।
ভারী ওজন তোলার সময়ে সঠিক ভাবে শ্বাস নেওয়া ভীষণ জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৩) চেস্ট, ব্যাক, বাইসেপ, ট্রাইসেপ, কাঁধ, পা, কোনও অঙ্গই বাদ দিলে চলবে না। পুরো শরীরের ব্যায়াম করা আবশ্যক,। তবেই ঠিকঠাক ফল পাবেন।
৪) ভারী ওজন তোলার সময়ে সঠিক ভাবে শ্বাস নেওয়া ভীষণ জরুরি। অনেকেই ভারী ওজন তোলার সময়ে শ্বাস ধরে রাখেন, এই ভুল করবেন না। ওজন তোলার সময়ে শ্বাস ছেড়ে দিতে হবে আর ওজন নামানোর সময়ে শ্বাস টানতে হবে।
৫) যখনই মন চাইল তখনই ব্যায়াম করলে কিন্তু কোনও ফল পাবেন না। ওয়েট ট্রেনিংয়ের জন্য সঠিক নিয়ম মেনে চলা একান্ত জরুরি। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া, ঘুম না হলে পেশির শক্তি কখনওই বাড়বে না।
৬) ভারী ওজন তোলার আগে ওয়ার্ম আপ করা জরুরি। হালকা কার্ডিয়ো, হাঁটাহাঁটি, অ্যারোবিক ব্যায়াম করতে পারেন এ ক্ষেত্রে।
৭) কোথাও চোট পেলে জোর করে ভারী ওজন তুলতে যাবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। চোট লাগলে পর্যাপ্ত সময় বিশ্রাম করুন। তার পর হালকা শরীরচর্চা দিয়ে শুরু করে তার কিছু দিন পর ভারী ওজন তুলুন।