পোষ্যের আদরেই কি লুকিয়ে আছে চর্মরোগের ঝুঁকি? ছবি: সংগৃহীত।
অফিস থেকে সবে বাড়ি ফিরেছেন। আপনার আসার খবর পেয়ে ছুটে এল পোষ্য সারমেয়। এসেই উঠে পড়ল গায়ের উপর। আপনিও সস্নেহে জড়িয়ে ধরলেন সারমেয়কে। আপনার আস্কারা পেয়ে পোষ্যও ফিরিয়ে দিল আদর। মুখময় জিভ দিয়ে চেটে দিল। অনেকের বাড়িতে এটাই প্রাত্যহিক চিত্র। পোষ্যের সঙ্গে এমন খুনসুটি চলতেই থাকে সারা দিন। সারমেয়দের আদর করার ধরণ খানিকটা আলাদা। তারা তো আর আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে কিংবা আলিঙ্গন করতে পারবে না! পোষ্যদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হল জিভ দিয়ে চেটে আপনার মুখ ভিজিয়ে দেওয়া। পোষ্যের কাছ থেকে এমন নিঃস্বার্থ ভালবাসা পেয়ে মন খুশিতে ভরে যেতে বাধ্য। কিন্তু সাময়িক এই ভাললাগা আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে না তো?
সারমেয়দের স্বাভাবিক প্রবণতা হল সামনে যা-ই দেখে, তাতেই মুখ দিয়ে দেয়। এটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক। বাড়িতে থাকলেও অনেক অপরিষ্কার জিনিসও দাঁত দিয়ে টানাটানি করে। অনেক সময় জিভ দিয়ে নিজেদের থাবা চাটতেও দেখা যায়। ফলে সমস্ত নোংরা জমা হয় জিভে। সেই জিভ দিয়ে যদি আপনার মুখ চাটে, তা হলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।
সাময়িক এই ভাললাগা আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
দুরন্ত পোষ্যের পাশাপাশি অনেক বাধ্য সারমেয়ও আছে, যারা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছুতে মুখ দেয় না। সারমেয়কে জিভ দিয়ে আপনার মুখ চেটে দেওয়ায় অনুমতি দেবেন না। পোষ্যের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সব সময় বজায় রাখা সম্ভব হয় না। ফলে নানা রকম চর্মরোগের আশঙ্কা থেকেই যায়। তা ছাড়া পোষ্যের লালায় অনেক ব্যাক্টেরিয়াও থাকে। তাই ঝুঁকি এড়াতে পোষ্যকে সব সময় এতটা কাছে আসতে দেবেন না।