ভাজাভুজি খাওয়া ছেড়ে দিলেন, তা-ও অ্যাসিডিটি পিছু ছাড়ল না?
তেল-মশলা দেওয়া খাবার, রাস্তার ধারের ভাজাভুজি সবই ছেড়ে দিয়েছেন বদহজমের ভয়ে। এমনকি, রোজ শরীরচর্চা করে সামান্য ওজনও ঝরিয়ে ফেলেছেন। তবুও অ্যাসিডিটির সমস্যা পিছু ছাড়ছে না? মাঝেমাঝেই বুকজ্বালা করছে। অস্বস্তি বেড়েই যাচ্ছে। ভাবছেন, কী করা যায়? ঘন ঘন অ্যান্টাসিড খাওয়ার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। এ ক্ষেত্রে ধূমপান ছেড়ে দেখতে পারেন। চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
ধূমপান করলে যে আমাদের শরীরে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বেড়ে যায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে পেট থেকে অ্যাসিড আমাদের খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে উপরের দিকে উঠে এসে ইসোফেগাসে পৌঁছে যায়। যার কারণে গলা, বুক জ্বালা করে আমাদের।ধূমপানে সঙ্গে বদহজমের কী সম্পর্ক?
১) ধূমপান করলে আমাদের ইসোফেগাস বা খাদ্যনালির মাংসপেশিগুলি শিথিল হয়ে যায়। নিকোটিন সাধারণত শরীরের সব পেশিই শিথিল করে। ধূমপান করলে খাদ্যনালির কার্যকারিতা কমে যায়। তখন পেটের অ্যাসিড সহজেই উপরের দিকে উঠে আসে।
প্রতীকী ছবি
২) মুখের লালারস কমিয়ে দেয় নিকোটিন। আমাদের লালারসে বাইকার্বোনেট পাওয়া যায়, যা অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে যে অ্যাসিড শরীরের উপর দিকে চলে আসে, ঢোক গেলার সময়ে তা অনেকটা কমিয়ে ফেলে আমাদের লালারস। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের লালারস কম উৎপাদন হয়। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যাও বেড়ে যায়।
৩) ধূমপান করলে আমাদের পেটে বেশি পরিমাণে অ্যাসিড তৈরি হয়। এবং সেটা অনেকটাই গাঢ় হয়। বেশি অ্যাসিড তৈরি হলে সহজেই খাদ্যনালি দিয়ে তা উপরের দিকে চলে আসতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপান পেপটিক আলসারের করণ হতে পারে।
৪) নিকোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রের মিউকাস আবরণীর ক্ষতি করে। এর ফলে হজমশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।