হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমবে হেঁটেই। ছবি: সংগৃহীত।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো— সব সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে হাঁটায়। ফিট থাকতে হাঁটার যে কোনও বিকল্প নেই, সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করেন চিকিৎসকেরা। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে সারা দিনে ১০ হাজার পা হাঁটলেই হৃদ্রোগ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন ২,২০০ থেকে ১০,০০০ পা হাঁটাহাঁটি করলেই মৃত্যুর ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। সমীক্ষা অনুযায়ী, যাঁরা দিনে ৯,০০০ থেকে ১০,০০০ পা হাঁটেন তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকের ক্ষেত্রেই আলাদা করে সময় বার করে রোজ ১০ হাজার পা হাঁটা সম্ভব হয় না। কাজের ফাঁকেই কী ভাবে ১০ হাজার পা হেঁটে ফেলতে পারেন, রইল তারই হদিস।
১) সিঁড়ির ব্যবহার: অফিস হোক বা বাড়ি, লিফ্টের ব্যবহার ছেড়ে দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা শুরু করুন। অনেকেই আছেন যাঁরা এক তলায় উঠতেও লিফ্টের উপর ভরসা করেন। তবে শরীর ফিট রাখতে চাইলে সিঁড়ির ব্যবহার শুরু করতেই হবে। এতেই অনেকটা হাঁটা হবে।
২) গাড়ি দূরে পার্ক করা: অফিসে গাড়ি নিয়ে যান? সে ক্ষেত্রে অফিসের সামনেই গাড়ি পার্ক না করে একটু দূরে পার্ক করুন। এতে হাঁটাহাঁটি করার অবকাশ বাড়বে।
৩) পোষ্যকে নিয়ে বেড়ানো: যাঁদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে, তাঁদের নিয়ম করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে হয়। অনেকেই আছেন যাঁরা পোষ্যকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন। এই কাজটি নিজে করলে কিন্তু আপনি পোষ্যের সঙ্গে একটু বেশি সময়ও কাটাতে পারবেন আর আপনার শরীরও চাঙ্গা থাকবে।
৪) রাতে খাওয়ার পর হাঁটা: সারা দিন সময় না পেলেও রাতে খাওয়ার পর মোবাইল না ঘেঁটে মিনিট ২০ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একা হাঁটতে ইচ্ছে না করলে সঙ্গে কোনও সঙ্গীকেও নিয়ে নিতে পারেন। এই সময়টি কিন্তু হাঁটাহাঁটির জন্য বেশ ভাল।
সারা দিনে ১০ হাজার পা হাঁটলেই হৃদ্রোগ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
৫) অনলাইনের বদলে বাজারে যাওয়া: বাজারে ঘুরে ঘুরে মনের মতো জিনিস, মাছ, মাংস কিনতে হলে কিন্তু অনেকটা হাঁটাহাঁটি করতে হয়। তাই অনলাইনে বাজার করার অভ্যাসে বদল আনতে পারেন। শরীর ফিট থাকবে আর রোজ টাটকা বাজারও আসবে।