ডিম খেলে লম্বা হয়ে যায়? ছবি: সংগৃহীত।
ডিম এমন এক খাবার, যার প্রতি সকলেরই কমবেশি টান আছে। বাড়ির খুদেটিও ডিম খাওয়া নিয়ে বিশেষ আপত্তি করে না। আবার মেনুতে ডিমের পদ থাকলে বড়দের মুখেও হাসি ফোটে। ডিমের স্বাদ নিয়ে ছোট এবং বড় দু’পক্ষই সহমত।
শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দেয় ডিম। প্রোটিন তো আছেই, সেই সঙ্গে ডিমে রয়েছে ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-সহ নানা উপকারী উপাদান। বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, ডিম উচ্চতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে ডিম খাওয়ানো যায়, তা হলে তার উচ্চতা নিয়ে ভাবনা থাকবে না। তেমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদ চৈতালি মণ্ডল। চৈতালি বলেন, ‘‘ডিমের সঙ্গে উচ্চতার একটা সম্পর্ক রয়েছে। ৩০ পেরোনো কেউ যদি এখন লম্বা হওয়ার আশায় ডিম খেতে শুরু করেন, তা হলে সেই ইচ্ছে পূরণ হওয়ার নয়। তবে বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম খাওয়ানো যায়, তা হলে উচ্চতা সত্যিই বাড়ে। ডিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা উচ্চতা বাড়িয়ে তোলে। রোজ একটি করে ডিম যদি শিশুকে খাওয়ানো যায়, তা হলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে শুধু ডিম খাওয়ালে তো চলবে না। পাশাপাশি দৌড়ঝাঁপও করতে হবে।’’ ডিম খাওয়া তো নিঃসন্দেহে ভাল। তবে ডিম ছাড়াও এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
দুধ
খুদে দুধ না খেতে চাইলেও রোজ ওদের দুধ খাওয়াতে হবে। দুধে প্রচুর মাত্রায় ক্যালশিয়াম থাকে, যা হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুধ প্রোটিনেরও ভাল উৎস। প্রোটিন কোষ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে দুধ বেশ সহায়ক। দুধ ছাড়াও, পনির, টক দই, চিজ়ও খাওয়ানো যেতে পারে।
সয়াবিন
সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা দেহের কোষ ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ডায়েটে অবশ্যই সয়াবিন রাখুন।
শাকসব্জি
মেথি, পালং শাক, বাঁধাকপির মতো সব্জিতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। এই সব উপাদান শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।