ব্রকোলি এবং ফুলকপি। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালের বাজার দখল করে ফুলকপি আর ব্রকোলি। হেঁশেলেও সম্মুখসমরে নামে এই দুই সব্জি। মাছের পাতলা ঝোল থেকে স্যালাড, ফুলকপি আর ব্রকোলির চাহিদা অফুরান। স্বাদেও টেক্কা দেয় একে-অপরকে। কিন্তু স্বাস্থ্যগুণের দিক কে এগিয়ে, সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না। কোনটিকে আপন করে নিলে শরীর নিয়ে ভাবনা দূর হবে?
ব্রকোলির উপকারিতা
ব্রকোলিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে হজমের গোলমাল কমানো, ব্রকোলির গুণের শেষ নেই। ‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার’ অনুসারে, এক কাপ ব্রকোলিতে রয়েছে ৩-৩.৫ গ্রাম ক্যালশিয়াম, যা রোজ শরীরে প্রবেশ করলে হাড় শক্তিশালী হতে বাধ্য। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে ব্রকোলি। যার ফলে মানসিক উদ্বেগ, অবসাদ দূরে চলে যায়। চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে ব্রকোলি। হার্টেরও খেয়াল রাখে।
ফুলকপির উপকারিতা
ব্রকোলির মতো ফুলকপিতেও ভিটামিন সি আর কে থাকে। ফুলকপি খেলে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না ফুলকপি। ‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার’-এর গবেষণা জানাচ্ছে, ফুলকপিতে রয়েছে ‘কোলাইন’ নামক উপাদান, যা শান্তিতে ঘুমোতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, পেশির রক্ত চলাচল সচল রাখতেও ফুলকপি উপকারী।
স্বাস্থ্যগুণে তবে জিতল কে?
পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, ব্রকোলি এবং ফুলকপি দুটোই যথেষ্ট উপকারী। তবে কার শরীরে কোন উপাদানের প্রয়োজন, তার উপর নির্ভর করছে কে কোনটি খাবেন। কারও যদি শরীরে ভিটামিন এবং ফাইবারের অভাব ঘটে থাকে, সে ক্ষেত্রে ব্রকোলি খাওয়া যেতে পারে। আবার কেউ যদি লো-কার্ব এবং কম ক্যালোরি ডায়েট করেন, তা হলে ফুলকপি হতে পারে সেরা বিকল্প।