ডায়াবিটিসের দাওয়াই কোন ফল?
গ্রীষ্মের বাজারে আমের মতোই জামেরও চাহিদা তুঙ্গে। জামের বীজ, পাতা এবং ছাল অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই ফল কিন্তু দারুণ উপকারী। সারা বছর বাজারে এই ফলের দেখা মেলা দায়। তাই ডায়াবিটিসকে জব্দ করতে গরমে ভরসা রাখুন জামেই। জাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। জাম ছাড়াও এর বীজ ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কেন জাম এত উপকারী?
জামের মধ্যে থাকা জ্যাম্বোলান নামক যৌগ ডায়াবিটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই যৌগের প্রভাবে রক্তে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এই ফল দারুণ উপকারী। কেবল ফলই নয়, জামের বীজও কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায়্য করে। জামের বীজে জাম্বোলিন এবং জাম্বোসিন নামক যৌগ থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ইনসুলিন হরমোনোর ক্ষরণ বাড়ায়। জামের বীজের প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা, যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ফলের বীজ ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া জামে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।
প্রতীকী ছবি
এ ছাড়াও জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ জাম শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে। জেনে নিন জামের আরও কী কী গুণ রয়েছে।
১) জাম রক্ত পরিশোধনকারী হিসাবে কাজ করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন এবং আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে জাম। রক্ত থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ শোষণ করে রক্ত পরিষ্কার রাখে। রক্ত পরিষ্কার থাকলেও ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। ত্বক সুস্থ থাকে। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে জাম।
২) প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামসমৃদ্ধ জাম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত জাম খাওয়ার অভ্যাস হার্ট অ্যাটাক বা মানসিক চাপের আশঙ্কা হ্রাস করে।
৩) ডায়েটারি ফাইবারসমৃদ্ধ জাম কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, সুস্থ থাকতে তাঁরা ভরসা রাখতে পারেন জামে।