—প্রতীকী ছবি।
কেউ বছরের পর বছর চিকিৎসককে না জানিয়েই হজমের গন্ডগোলের ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার হৃদ্রোগের সমস্যাকেও অ্যাসিডিটি বলে ভাবছেন! এ ক্ষেত্রেও চলছে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজের ইচ্ছা মতো ওষুধ কিনে খাওয়া! যার পরিণতি হচ্ছে মারাত্মক। বৃহস্পতিবার ‘অ্যাসিডিটি সমস্যার নিরাপদ সমাধান’ শীর্ষক একটি আলোচনাচক্রে উঠে এল এমনই নানা দিক। সেখানে মেডিসিনের চিকিৎসক অপূর্বকুমার মুখোপাধ্যায় তুলে ধরেন হজমের গন্ডগোলের নানা দিক। খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এবং মানসিক চাপকেও তিনি অ্যাসিডিটির অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি তিন জনের এক জনই হজমের গন্ডগোলে ভুগছেন। দিনের পর দিন যেমন খুশি ওষুধ খাওয়া এর অন্যতম কারণ।’’
হৃদ্রোগ চিকিৎসক অরূপ দাস বিশ্বাস বললেন, ‘‘এমন ওষুধ খেতে খেতে অনেকেই বুঝতে পারেন না, কোনটা হৃদ্রোগ, কোনটা হজমের গন্ডগোল।’’ তিনি জানান, অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয় পেট থেকে। জ্বালা ভাব বুক ও গলার দিকে উঠতে থাকে। পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধিই এর মূল কারণ। অ্যাসিড খাদ্যনালি হয়ে উপরে উঠে এলে বুক জ্বালার মতো সমস্যা হয়। এ দিকে, হৃদ্রোগের সমস্যা শুরু হয় বুক থেকে। ক্রমে সেই ব্যথা বাঁ হাত ও কাঁধের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ক্লান্তি, বাঁ দিক অসাড় লাগা বা কঠিন হয়ে আসা, বুকে-পিঠে ভারী ভাবও হৃদ্রোগের লক্ষণ হতে পারে। নিজেরা না বুঝলেও চিকিৎসকের কাছে গেলেই সমস্যা ধরা পড়বে দ্রুত।
ওঠে কলকাতায় গায়ক কেকে-র মৃত্যুর প্রসঙ্গ। হৃদ্রোগে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাসিডিটির ওষুধ খেতেন গায়ক। হৃদ্রোগের সমস্যা না বুঝে অ্যাসিডিটির ওষুধ খেয়ে যাওয়াতেই কি এই পরিণতি? দুই চিকিৎসকই একমত, ‘‘এমন ঘটতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। তাই নিজে ডাক্তারি না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।’’