মাস চারেক আগেই কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন দেবিনা। ছবি- সংগৃহীত
দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস চারেক আগেই কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন দেবিনা। প্রথম সন্তানের জন্মের ১২০ দিনের মাথায় ফের সুখবর দেন দেবিনা-গুরমিত। নিজের ইউটিউব ভিডিয়োতে দেবিনা জানান, এমনটাও যে হতে পারে, কখনও প্রত্যাশা করেননি। এই ঘটনা তাঁর কাছে সত্যিই অবিশ্বাস্য!
বহু দিন ধরেই পিসিওডির সমস্যা ছিল দেবিনার। পরবর্তী সময়ে তাঁর এন্ড্রোমেট্রোসিস এবং অ্যাডিনোমায়োসিসের মতো জটিলতাও ধরা পড়ে। সে কারণেই প্রথম সন্তানধারণের জন্য বেশ সমস্যা হয়। আগে অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতও ঘটেছে। ফলে প্রথম বার মা হওয়ার অভিজ্ঞতা মোটেই সহজ ছিল না অভিনেত্রীর কাছে। আইভিএফ পদ্ধতিতে তিনি কন্যাসন্তান লিয়ানার জন্ম দিয়েছিলেন। প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে ফের সন্তানধারণ করে বেশ আপ্লুত তারকা জুটি।
প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে ফের সন্তানধারণ করে বেশ আপ্লুত তারকা জুটি। ছবি- সংগৃহীত
তবে দ্বিতীয় বার সন্তানধারণের পথও খুব বেশি মসৃণ ছিল না। ইউটিউব ভিডিয়োতে দেবিনা বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম তিন মাস আমার ঋতুঃস্রাব বন্ধ হয়নি। এই ঘটনায় ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তপাত গর্ভপাতের লক্ষণ বলেই জানতাম। বার বার স্ক্যান করাই শিশু ভাল আছে কি না, তা জানার জন্য। চিকিৎসকরা স্ক্যানের ফলাফল দেখে আমাকে আশ্বস্ত করেন বটে, তবে কেন রক্তপাত হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরাও।’’
দেবিনা আরও বলেন, ‘‘বেশ কিছু স্ক্যান করার পর ধরা পড়ে, আমার জরায়ুতে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। আর সে কারণেই আমার রক্তপাত হচ্ছিল। তিন মাসের মাথায় রক্তপাত বন্ধ হয়। সে দিনের মতো স্বস্তি আর কখনও পাইনি।’’
গর্ভধারণ পরিকল্পিত হতে পারে। আবার আবেগের তোড়ে ভেসেও যেতে পারেন। সুরক্ষা ছাড়া যৌনতার পর ঋতুস্রাব সঠিক সময় না হলে অনেকের মাথাতেই গর্ভধারণের সম্ভাবনার চিন্তা সবার আগে আসে। কিন্তু কেবল ঋতুস্রাব না হওয়াই কি গর্ভধারণের সঙ্কেত? না, তা নয়। দেবিনার ঘটনায় আবারও সেই প্রমাণ মিলল।
ভিডিয়োটি প্রাকশিত হওয়ার পর অনেকেই দেবিনার সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। এক জন লেখেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম তিন মাস আমারও রক্তপাত হয়েছিল। গর্ভধারণের কোনও লক্ষণই ছিল না আমার শরীরে।’ আর এক জন লেখেন, ‘দ্বিতীয় বার সন্তানধারণের সময় ন’মাসই আমার স্পটিং হয়।’
এ বিষয় কী মত চিকিৎসকদের?
চিকিৎসকদের মতে, ইদানীং প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন অন্তঃসত্ত্বার ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে। তবে এমন হলে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের একটি সমীক্ষার পরে বলা হয়েছে, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রথম তিন মাসে ভারী রক্তপাত এবং পেটে ব্যথা হলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি। তবে স্পটিং যদি এক-দু’দিন থাকে, তবে তা খুব একটা চিন্তার বিষয় নয়।’