প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
স্বাভাবিক নিয়মে সন্তানধারণ করা যাবে না, এই খবর পাওয়ার পর অনেক দম্পতিই মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যান। আইভিএফ পদ্ধতি বেছে নিয়েও কিছু ক্ষেত্রে তা সফল হয় না। তাই এই পদ্ধতি শুরু করার আগে কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে। হবু মায়ের খুব বেশি বয়স বা মানসিক চাপ যেমন এই পদ্ধতির জন্য ক্ষতিকর, তেমনই জীবনযাপনে কিছু ভুলও। তাই এই পদ্ধতি শুরু করার আগে জীবনযাপনে কিছু বদল আনার চেষ্টা করুন। সেগুলি কী জেনে নিন।
মায়ের ওজন
হবু মায়ের ওজন খুব বেশি হলে তাঁর ডিম্বাসয় নজরদারি করা মুশকিল হয়ে যায়। আবার খুব কম ওজন হলেও মায়ের শরীরে হরমোনের গোলমাল দেখা দিতে পারে। এর ফলে আইভিএফ পদ্ধতি কার্যকর না-ও হতে পারে। তাই এই পদ্ধতি শুরু করার আগে কোনও পুষ্টিবিদের কাছে থেকে সঠিক ডায়েটের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি। শরীরে পুষ্টিগুণ সঠিক পরিমাণে থাকলে তবেই সুস্থ সন্তানের জন্ম হবে।
শরীরচর্চা
যাঁরা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করতে চান, তাঁদের প্রত্যেক দিন অন্তত ৩০ মিনিট কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে হবে। আইভিএফ শুরু হওয়ার পরও মেয়েদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তার জন্যেও কার্ডিয়ো করা খুব জরুরি। যে কোনও ব্যায়াম যাতে হৃদপিণ্ডের গতি বাড়বে, তা বেছে নিন। এতে রক্তচাপ কমবে, ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কমবে এবং আরও অনেক উপকার পাবেন।
প্রতীকী ছবি।
ক্যাফিন নিয়ন্ত্রণ
হালের গবেষণা বলছে খুব বেশি ক্যাফিন শরীরে গেলে আইভিএফ দ্বারা সন্তানধারণের সাফল্য অন্তত ৫০ শতাংশ কমে যায়। তাই প্রত্যেকদিন কতটা কফি খাচ্ছেন, তা নজর রাখা জরুরি। দিনে তিন কাপের বেশি কফি কখনওই নয়। অন্য যে খাবারে ক্যাফিন থাকে, সেগুলিও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ যে শুধু আইভিএফ পদ্ধতিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে তাই নয়, আপনার শরীরে নানা রকম গোলমালের কারণও হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যোগ, ম্যাসাজ, ডায়েরি লেখা, ধ্যান, হাঁটা— অনেক ভাবেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। খুব বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই পেশাদার কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন।
ধূমপান
ধূমপান ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকর। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন। আপনার আইভিএফ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়ার সময় ধূমপান নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করবেন।