ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। কোভিড কাঁটার মধ্যেই নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। ওমিক্রন করোনার ভাইরাসের মিউট্যান্ট রূপ হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওমিক্রনের বৈশিষ্ট্য আলাদা।
করোনার বাকি রূপ আর ওমিক্রনের উপসর্গ কি এক
করোনার অন্য রূপের মতোই ওমিক্রনের ক্ষেত্রে হালকা জ্বর, গলা ব্যথা, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথার মতো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।ওমিক্রনের ক্ষেত্রে স্বাদ বা গন্ধ থাকছে। তবে মাঝে মাঝে হ্রাস পেতে পারে খিদে।
উপসর্গ টের পাওয়ার কতদিনের মধ্যে পরীক্ষা করাবেন
ওমিক্রন হোক বা করোনার অন্য যে কোনও রূপ, শরীরে ঢোকার সাধারণত ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলি শুরু হয়। সর্বোচ্চ ১৪ দিন পার করেও উপসর্গ প্রকাশ পেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রে উপসর্গ প্রকাশ পাবে এমন নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক রোগীই উপসর্গহীও থাকতে পারেন। তাই করোনার লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়ার একদিনের মধ্যেই পরীক্ষা করান এবং অতি অবশ্যই নিভৃতবাসে রাখুন নিজেকে।
ছবি: সংগৃহীত
ওমিক্রন আক্রান্ত হলে কতদিন নিভৃতবাসে থাকবেন
পরীক্ষার পর যদি জানতে পারেন যে আপনি করোনা আক্রান্ত বা ওমিক্রনে তাহলে অতি অবশ্যই নিজেকে আলাদা রাখুন। নিজের সংস্পর্শে কাউকে আসতে দেবেন না। অন্তত প্রথম ১০ দিন নিভৃতবাসে থাকুন। শারীরিক জটিলতা না থাকলে বাড়িতেই থাকতে পারেন। তবে বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কী ধরনের পরীক্ষা করাবেন
করোনা পরীক্ষার জন্যে মূলত র্যাপিড অ্যান্টিজেন সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়াও করোনা পরীক্ষার অন্য পদ্ধতি আরটি-পিসিআর। নাক ও গলা থেকে শ্লেষ্মা সংগ্রহ করে মূলত এই পরীক্ষাটি করা হয়। এ ছাড়াও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমেও করোনার চিহ্নিত করা যায়। তবে প্রথম দুই ধরনের পরীক্ষার মধ্যে কোনও একটি বেছে নেওয়াই শ্রেয়।