স্বপ্ন যখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাঁর চেয়ে ভয়ঙ্কর বোধহয় আর কিছু হতে পারে না।
ঘুমের মধ্যে কি প্রায়ই ভয় পেয়ে জেগে ওঠেন? কিংবা এমন কোনও ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখেছেন যে ঘুমের মধ্যেই ঘেমে যাচ্ছেন? ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরেও বেশ কিছুক্ষণ বুঝতে পারছেন না যে, আপনি বাস্তবে আছেন কি না?
স্বপ্ন দেখতে কার না ভাল লাগে? কিন্তু সেই স্বপ্ন যখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাঁর চেয়ে ভয়ঙ্কর বোধহয় আর কিছু হতে পারে না। বেশ সময় লেগে যায় নিজের চেতনায় ফিরে আসতে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সারা দিনের ক্লান্তি, চিন্তা আমাদের উপর এমন একটা প্রভাব ফেলে, যা ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নে প্রতিফলিত হয়ে ওঠে। আপনি সবর্দা সুখের স্বপ্নই দেখবেন, এমনটা নয়। জীবন থেকে দুঃস্বপ্ন একেবারে মুছে ফেলার কোনও উপায় নেই। তবে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যলয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এমন কিছু পন্থা আছে যা আপনার দুঃস্বপ্ন দেখার পরিমাণ কম করতে পারে। কোনও দুশ্চিন্তা থেকে এমনটা হচ্ছে কি না তা বুঝতে হবে সবার আগে। এমনটা হলে প্রয়োজন দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় খুঁজে বার করা। অনেক সময় বিশেষ কোনও ওষুধের ডোজ বেড়ে গেলেও এমনটা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওষুধের ডোজ কমাতে হবে।
প্রতীকী ছবি।
জানেন কি, আপনি কী ভাবে ঘুমোচ্ছেন তার উপরেও নির্ভর করে আপনি দুঃস্বপ্ন দেখবেন কি না? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখেন, তাঁরা কেবল নিজের শোওয়ার ধরনে বদল আনার পরেই বেশ উপকার পেয়েছেন। গবেষকরা দাবি করেছেন, চিত হয়ে ঘুমালে আপনার দুঃস্বপ্ন আসতে পারে। যাঁরা এ ভাবে ঘুমান, তাঁরা আদতে কি স্বপ্ন দেখছেন তা-ও মনে রাখতে পারেন না। যাঁরা ডান পাশ ফিরে ঘুমান, তাঁদের ভাল স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বেশি। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। অপর দিকে যাঁরা বাঁ পাশ ফিরে ঘুমান, তাঁরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। গবেষকদের মতে, আপনি যদি পেটের উপর ভর দিয়ে ঘুমান, তা হলে যৌনস্বপ্ন বেশি দেখবেন।