ওজন কমলেও সতর্ক হতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? এ দিকে, যতই সচেতন থাকুন না কেন, ওজন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। ভালমন্দ না খেয়েও বেড়ে যাচ্ছে ওজন, চুল ঝরছে অকালে, ত্বক হয়ে উঠছে জৌলুসহীন। কর্মব্যস্ত জীবনে ছোটখাটো এই শারীরিক সমস্যাগুলি আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। অথচ এই উপসর্গগুলির পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে থাইরয়েডের চোখরাঙানি। তাই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে বিগড়ে যেতে পারে হরমোনের ভারসাম্য, দেখা দিতে পারে একাধিক রোগ। অনেক সময়ে শুরুতে বোঝা যায় না রোগের উপসর্গ। আর রোগ চিনতে যে দেরিটা হয়ে যায়, তাতেই নষ্ট হয় অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ সময়।
১) ক্লান্তি থাইরয়েডের সবচেয়ে বড় লক্ষণ। যদি অল্প কাজেই ক্লান্ত লাগে, তবে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২) হঠাৎ কোনও কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত রোগা বা মোটা হয়ে যাচ্ছেন কি? তা হলেও কিন্তু সতর্ক হোন। এটি থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ওঠা-নামা করার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত।
৩) ঘাড়ের উপর কালচে দাগ পড়তে শুরু করেছে? এই লক্ষণ কিন্তু প্রায়ই আমরা অবহেলা করি। কিন্তু থাইরয়েডের মাত্রায় গোলমাল হলেই এই দাগ পড়তে থাকে।
৪) অনিদ্রার সমস্যাও থাইরয়েডের লক্ষণ হতে পারে। রাতের পর রাত ঘুম না হলে এক বার থাইরয়েড পরীক্ষা করানো দরকার।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবও থাইরয়েডের উপসর্গ হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
৫) উদ্বেগ এবং অবসাদ হঠাৎ বাড়তে শুরু করলেও সাবধান হওয়া দরকার। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রার ওঠা-নামার সঙ্গে এর সরাসরি যোগ রয়েছে।
৬) মহিলাদের ক্ষেত্রে আর একটি বিষয়ও আছে। ঋতুস্রাব সময় মতো হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখা জরুরি। অনিয়মিত ঋতুস্রাবও থাইরয়েডের উপসর্গ হতে পারে।
৭) সবাই আরামে বসে আছেন, অথচ আপনার প্রচণ্ড শীত করছে কিংবা গরমে দরদর করে ঘামছেন। হঠাৎ হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে।