কেক তৈরি করতে প্রচলিত যে যে উপকরণগুলি প্রয়োজন হয়, সেই সব ছাড়াও স্বাস্থ্যকর কিছু জিনিস দিয়েই কেক তৈরি করা যায়। ছবি- সংগৃহীত
বড়দিন থেকে ইংরেজি নতুন বছর, পাড়ার মোড় থেকে বড় কেকের দোকান, সর্বত্রই কেকের ছড়াছড়ি। দেখলেই কিনে ফেলছেন আর দেদার খাচ্ছেন। কিন্তু কেক বানাতে যে সব উপকরণ ব্যবহার করা হয় তার স্বাদ এবং গন্ধ মন ছুঁয়ে গেলেও, সেই সব রক্তে মিশলে আর রক্ষে নেই। তার উপর যদি আগে থেকেই রক্তে শর্করা, কোলেস্টেরলের মতো নানা রকম গোলমাল থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। কিন্তু তাই বলে কি কেকই খাওয়া হবে না?
পুষ্টিবিদদের মতে, কেক তৈরি করতে প্রচলিত যে যে উপকরণগুলি প্রয়োজন হয়, সেই সব ছাড়াও স্বাস্থ্যকর কিছু জিনিস দিয়েই কেক তৈরি করা যায়।
ময়দা, মাখন, চিনি ছাড়া একই পদ্ধতিতে আর কী কী ব্যবহার করে কেক বানানো যায়?
পিনাট বাটার
কেক তৈরি করতে গেলে মাখন বা তেল লাগেই। কিন্তু যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁরা মাখন খেতে চান না। তা হলে কেক তৈরি করবেন কী করে? সাধারণ মাখনের বদলে কেকের মিশ্রণে দিতে পারেন বাদাম দিয়ে তৈরি মাখন বা পিনাট বাটার। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাঁদের জন্য এই মাখন উপকারী।
শুকনো ফল
অনেকেই কেকের মধ্যে শুকনো ফল বা বাদাম দেওয়া পছন্দ করেন না। কিন্তু কেকের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে এদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা যদি খুব বেশি না থাকে তা হলে কেকের মিশ্রণে দিতেই পারেন শুকনো খেজুর, কাজু, কিসমিস, আখরোট, কাঠবাদাম, শুকনো আঙুর। প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন এবং ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ শুকনো ফল বা বাদাম শরীরের জন্য ভাল।
ওটস
কেক তৈরির প্রধান উপকরণ হল ময়দা। কিন্তু ময়দা খেলেও তো সেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওটস কিন্তু ময়দার বিকল্প হতে পারে। যাঁরা ক্যালরি মেপে খাবার খান, তাঁদের জন্যও ভাল ওটস।
কলা
কেক যখন মিষ্টি তো দিতেই হবে। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া বিপজ্জনক। সে ক্ষেত্রে কেকের মিশ্রণে যোগ করতে পারেন পাকা কলা। কলার গুণে কেক তো মিষ্টি হবেই। সঙ্গে মিশ্রণে আসবে সুন্দর ঘনত্ব।
ডিম
তুলতুলে, নরম কেক পছন্দ? তা হলে কেকের মিশ্রণে ডিম তো দিতেই হবে। রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটি মেশান। একেবারেই অসুবিধা হবে না।