সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে গত দুই বছরে ইউরোপ জুড়ে আনুমানিক ১০ লক্ষ রোগীর ক্যানসারের চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। ছবি: শাটারস্টক
কোভিড মহামারির আগেই ক্যানসার বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। নতুন এক গবেষণার ইঙ্গিত কোভিডের পর এ বার ক্যানসারও নিতে পারে মহামারির আকার। কোভিডের প্রভাবে ইউরোপের ক্যানসার চিকিৎসাক্ষেত্রটি এক দশকের মধ্যে আরও সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
ল্যানসেট অনকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, ক্যানসার গবেষণায় ইউরোপের গ্রাউন্ডশট কমিশন গত ১২ বছরে ইউরোপ জুড়ে ক্যানসার রোগীদের উপর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে গত দুই বছরে ইউরোপ জুড়ে আনুমানিক ১০ লক্ষ রোগীর ক্যানসারের চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। গত দু’বছর ধরে হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া ঘিরে বিশ্ব জুড়েই তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। হাসপাসালে বা চিকিৎসকের কাছে গেলেই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল অনেকের মনে। আতঙ্ক সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনও ছিল না। ইউরোপের সরকারি তরফে বার বার সতর্ক করা হয়েছিল, ভিড় এড়িয়ে চলতে। হাসপাতালও ভিড়ের জায়গা। তাই সেই স্থানও এড়িয়ে চলেছিলেন ক্যানসার রোগীরাও।
হু ক্ষেত্রেই শুরুর দিকে ক্যানসার রোগীর উপসর্গগুলি প্রকট হয় না। ছবি: শাটারস্টক।
সমীক্ষা বলছে, কোভিডের প্রথম বছরে ইউরোপে প্রায় ১৫ লক্ষ ক্যানসার রোগীর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ এই সময়ে তাঁদের কোনও রকম কেমোথেরাপি বা অস্ত্রোপচার হয়নি। বহু ক্ষেত্রেই শুরুর দিকে ক্যানসার রোগীর উপসর্গগুলি প্রকট হয় না। এই সময়ে চিকিৎসা শুরু করা গেলে সুস্থ হয়ে ওঠার পথটি তুলনায় মসৃণ হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় বহু রোগীই প্রাথমিক পর্যায়ে বারবার চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পেয়েছেন। ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা নিয়ম মাফিক চিকিৎসা না পেলে অল্প সময়ে বড় আকার নিতে পারে। তেমনটা ঘটেছেও। গবেষকদের মতে, কোভিডের কারণে ইউরোপে ক্যানসার রোগীদের আয়ুও কমেছে।